০৭ জুলাই ২০২২, ১৮:৩৩

রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে একাই আন্দোলনে ঢাবি ছাত্র

  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও অনলাইন টিকিট নিয়ে ভোগান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তুলে ছয় দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের এই শিক্ষার্থী। ‌অনলাইন ভোগান্তি হ্রাস, সিন্ডিকেট বন্ধ ও নিরাপত্তা বিধানের কথা উল্লেখ করে ট্রেন ও সিট সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান রনি।

এ বিষয়ে রনি বলেন, এবার ‌অনলাইনে টিকিট করতে গিয়ে অনেকেই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন আমি। প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য পদ্মাসেতু করে দিয়েছেন। নিশ্চয় তিনি উত্তরবঙ্গের মানুষের ভোগান্তি কমাতেও পদক্ষেপ নেবেন। রেলমন্ত্রীর কাছ থেকে আমার কোনো এক্সপেক্টেশন নেই। একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে রেলওয়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি কমতে পারে।

তার ৬ দফা দাবি হল: 

১. সহজ.কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট করতে হবে।

২. টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৩. টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ট্রেনের জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. ট্রেনের সিট সংখ্যা বাড়ানো অথবা ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এবং তার সঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।

দুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে রনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকিটিং সিস্টেম সহজ.কম দ্বারা টিকিট করতে গিয়ে দেশের প্রায় লাখ লাখ মানুষ এই ঈদে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে আমিও একজন। গত ১৩ জুন আমি রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে ঢাকা-রাজশাহীর সিট বুক করার চেষ্টা করি। কিন্ত বিকাশ থেকে ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে আমার পিন কোড ছাড়াই আমার টাকা কেটে নেওয়া হয়। আমাকে কোনো সিট দেওয়া হয়নি এবং কেন টাকা নেওয়া হল তার কোনো ডকুমেন্টসও দেয়নি।

রনি জানান, ওইদিন কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের সার্ভার রুমে অভিযোগ জানালে তারা সিস্টেম ফল করার কথা বলে ১৫ দিনের মধ্যে টাকা না পেলে আবার আসতে বলেন। কিন্তু ওই সময় পাশে বসা কম্পিউটার অপারেটর ৬৮০ টাকার সিট ১২০০ টাকায় বিক্রি করেন বলে অভিযোগ তার।

এরপর তিনি গত ১৪ ও ১৫ জুন দুই বার ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন বলে জানান। তবে এখনও পর্যন্ত শুনানির কোনো ডাক আসেনি অধিদপ্তর থেকে।

অবস্থানরত মহিউদ্দিন রনি শিক্ষার্থীসহ সবার ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জনগণকে তার সঙ্গে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।