৪ শর্তে মোটরসাইকেল চলাচলের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ

মহাসড়কে মোটর সাইকেল
মহাসড়কে মোটর সাইকেল   © সংগৃহীত

আসন্ন ঈদযাত্রায় মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচলকারীদের যাত্রাপথে হয়রানি করা হলে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি।

মঙ্গলবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমাদের গৌরব ও অহংকারের প্রতীক পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের স্পিড লিমিট নির্ধারণ করে সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে ঈদের আগে মোটরসাইকেল চালুর দাবি জানান মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

মোজাম্মেল হক বলেন, রাইডশেয়ারকারী মোটরসাইকেলের সঠিক কোনো সংখ্যা বা ডাটাবেইজ বিআরটিএ বা ট্রাফিক বিভাগের কাছে নেই। ফলে কোনটি রাইডশেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল আর কোনটি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল- তা আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। চলার পথে কোথাও কোথাও সড়কের মাঝপথে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দ্রুতগতির মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র চেকিংয়ের দৃশ্য প্রায়ই চোখে পড়ে। এই ধরনের চেকিং পদ্ধতি সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 

‘তাই যানজট তৈরি না হয় এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রেখে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেকিং, চেকিংয়ের নামে অহেতুক কোনো মোটরসাইকেল চালক যাতে হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন: এই মুখ নিয়ে কী করে কলেজে যাব— অধ্যক্ষ স্বপনের আবেগি স্ট্যাটাস

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৭ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। গণপরিবহণ সংকট, বাসমালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পদে পদে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, রেলের টিকিট অব্যবস্থাপনা, শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ নানা কারণে ক্রমেই মানুষ মোটরসাইকেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই বাহনটি কখনোই গণপরিবহণের বিকল্প হতে পারে না। তবুও পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের আদলে গণপরিবহণের সংখ্যা কমানোর মধ্য দিয়ে যানজট কমাতে দেশে রাইডশেয়ারিং চালু করা হলেও বাস্তবভিত্তিক নীতিমালা ও মনিটরিংয়ের অভাবে এসব রাইডশেয়ারকারী যানবাহন যানজট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ