কেন বেড়েছে লোডশেডিং— জানালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
গত কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে লোডিশেডিং। রাজধানী থেকে গ্রামাঞ্চলে প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার খবর মিলছে। রোদ আর গরমের দাপটে জনজীবনে যখন ভয়াবহ অবস্থা তখন মিলছে না বিদ্যুৎ। বর্তমানে সারাদেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। যেটাকে জেনারেশন ক্রাইসিস বলা হয়।
রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পাতায় দেওয়া এক পোস্টে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে।
কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্যান্য সব দেশের মতো আমাদেরকেও সমস্যায় ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে আপনাদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনারা ধৈর্য ধরূন গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দেশের গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সমূহ চালু হলে খুব দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
আমাদের দেশের মোট বিদ্যুৎ শক্তির 50.75% গ্যাস থেকে উৎপাদিত হয়। এ ছাড়াও ডিজেল এবং ফার্নেস তৈল ও কয়লা থেকে ঊৎপাদিত হয় যার মূল্য গ্যাস এর দ্বারা উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে অনেক বেশি। শুধুমাত্র দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের জন্যে বর্তমানে দেশের সকল তৈল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র সমূহ পূর্ণ লোডে পাওয়ার ঊৎপাদন করছে। তিতাস ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বর্তমানে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করছে। তিতাস ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র 24 ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ ঘন্টা চলতো বর্তমান তিনদিন যাবত ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন জেনারেশন করতেছে।
আরও পড়ুন: ঈদে বাড়ি যেতে মানতে হবে ১২ নির্দেশনা
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে জানা যায়, তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। তাই সারা দেশেই লোডশেডিং করতে বলা হয়েছে। সিলেটে ৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে বলা হয়েছে এনএলডিসি থেকে। তাই পিক আওয়ারে লোডশেডিং হবে। লোডশেডিং সিলেট কুমারগাও গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে কন্ট্রোল করা হয়। আমরা যদি তাদের নির্দেশনা না মানি তাহলে এনএলডিসি ঢাকা থেকে আমাদের গ্রিডের বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে দিবে। অনেকেই এ নির্দেশনা না মানায় ইতোমধ্যে এনএলডিসি থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। সিলেটের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়ও এভাবে একঘন্টা বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ।