যাত্রীবাহী বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস একটি বগি রেখেই স্টেশন ছেড়েছে। ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাওয়ার ঠিক ১০ মিনিট আগে যাত্রীদের জানানো হয়, বগিটি বিকল হয়ে গেছে। ফলে সেটি রেখেই ছেড়ে যাবে ট্রেন।
সোমবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে। ট্রেনটি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেড়ে গেছে বেলা সাড়ে ১১টায়।
একতা এক্সপ্রেসের ‘ট’ নম্বর বগির জন্য ১০৫ জন যাত্রী টিকিট কেটেছিলেন। তাদের অধিকাংশ যাত্রী এ ঘটনায় ট্রেনটি মিস করেছেন। ট্রেনটির ‘ট’ নম্বর বগিতে আগে থেকেই ত্রুটি ছিল তাই সেটিকে বাতিল করা হয় এবং মূল ট্রেনের শেষে রাখা হয়। ফলে অনেক যাত্রী বগি বাতিলের তথ্য না জেনেই সেখানে উঠে পড়ে।
ভুক্তভোগী একজন জানান,ছয় মাস বয়সী মেয়ে জুনাইরাকে নিয়ে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেসের ‘ট’ বগিতে উঠেছিলেন রুবিনা আক্তার। প্রচণ্ড গরম সহ্য করেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যাবেন বাড়িতে, কিন্তু তার গন্তব্যে যাওয়া হলো না। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গেছে তাদের বহন করা বগিটি রেখে। দুধের শিশুকে নিয়ে তিনি কী করবেন বুঝতে পারছেন না। রুবিনা আক্তার বলেন, কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছে। কিন্তু টাকা নিয়ে আমি কী করব। বাচ্চা মেয়ে নিয়ে আমি কিভাবে যাব?
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘ক’ ইউনিটেও চান্স পেলেন আবরার ফাইয়াজ
একতা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, আমাদের স্টেশনে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। যার ফলে আমরা এসে দেখি ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে আছে। পরে আমাদের আসন নিশ্চিত করে ট্রেনে বসি। হঠাৎ জানতে পারি আমাদের বগি রেখেই একতা এক্সপ্রেস ট্রেন চলে গেছে। এ সময় বগিতে ১০০ থেকে ১৫০ জন যাত্রী ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না
কর্তৃপক্ষ বলছে, বগি বাতিলের বিষয়টি সকাল ৯টা সময় সবাইকে অবগত করা হয়েছে। তবে আগে যারা বিষয়টি জেনেছে, তারা অনেকে অন্য বগিতে উঠেছে। একতা এক্সপ্রেস (৭০৫) ট্রেনটি রাজধানী কমলাপুর স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন (পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন) পর্যন্ত চলাচল করে।