নড়াইলে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনা: ওসি প্রত্যাহার, তদন্ত প্রতিবেদন জমা
নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছনার ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবীরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ওসি শওকত কবীরকে প্রত্যাহার করে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। শনিবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির সদস্যরা।
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় ওসি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আজ রোববার সকালে প্রবীর কুমার রায় বলেন, খুলনা উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে তাঁকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে এ–সংক্রান্ত খবর পাওয়া গেছে। শওকত কবীরকে নড়াইল সদর থানা থেকে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাহামুদুর রহমানকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের পিটুনিতে আইসিইউতে দুই ছাত্রী
নড়াইলের জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান রবিবার (৩ জুলাই) সকালে জানান, অধ্যক্ষ লাঞ্ছনার ঘটনায় জেলা প্রশাসন গঠিত তিন সদস্যের কমিটি রাতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদনে বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী। সদস্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান ও সদর থানার ওসি শওকত কবির। তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত এবং তদন্ত প্রতিবেদন কত পৃষ্ঠার সে সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে চাননি কমিটির সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব ভারতের বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতা নুপুর সাহাকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসসহ অভিযুক্ত ছাত্রকে জুতার মালা পরানো হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কারাগারে আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।