পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে প্রাপ্ত টাকা
পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে প্রাপ্ত টাকা  © ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড তিন কোটি ৭৮ লাখ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া গেছে। যা ওই মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়ার হিসাবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।

শনিবার (০২ জুলাই) ৩ মাস ২০ দিন পর দান বাক্সের সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছে। সিন্দুকগুলো থেকে রেকর্ড ১৬ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) মো. গোলাম মোস্তফা টাকা গণনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। টাকা গণনার কাজে রুপালি ব্যাংকের এজিএম ও অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: জবি ছাত্রলীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ‘কুপ্রস্তাব’ অভিযোগ নারী নেত্রীর

সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়েছে। দান সিন্দুকগুলো খুলে ১৬টি বস্তায় টাকাগুলো আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সাথে সাথে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। বর্তমানে মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।

উল্লেখ্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ এসে পাগলা মসজিদে নগদ টাকাপয়সা ছাড়াও সোনা রুপার গয়না দান করে। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়। অন্য ধর্মের মানুষও এখানে দান করে।


সর্বশেষ সংবাদ