কমছে বরিশাল অঞ্চলের লঞ্চের ভাড়া
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২২, ০৯:৩৯ AM , আপডেট: ২৭ জুন ২০২২, ১০:০৯ AM
গত ২৫ জুন সকালে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দিন সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। এদিন রাতে বরিশাল থেকে যথারীতি ঢাকার উদ্দেশ্যি যাত্রী নিয়ে গেছে লঞ্চগুলো। তবে নেই সেই চিরচেনা ভিড়। আর তাই যাত্রী ধরে রাখতে ভাড়া কমাচ্ছে লঞ্চগুলো। যেকোনো মুহূর্তে লঞ্চের কেবিন ও ডেকের ভাড়া কমার এ ঘোষণা আসতে পারে।
নৌযান সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত রোববার থেকে আজ রোববার প্রতিটি লঞ্চেই কেবিনের যাত্রী অনেক কম। তবে দু-একদিনের হিসেব কষে লঞ্চের যাত্রী কমেছে বলা ঠিক হবে না, এটা বুঝতে মাস খানেকের মতো সময় লাগবে।
বরিশাল-ঢাকা রুটের বিলাসবহুল একটি লঞ্চের এক স্টাফ বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার প্রথম দিনেই আজ বরিশাল থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী লঞ্চের কেবিনে যাত্রী অনেকটাই কম। ফলে প্রতিটি লঞ্চেই একটা বড় সংখ্যায় কেবিন খালি রয়েছে। আর ডেকের যাত্রী স্বাভাবিক থাকলেও তাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে অনেকটাই কম অর্থাৎ আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর এমন সময়টাতে ঈদের অগ্রিম টিকিটের জন্য যাত্রীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, ফোন ধরতে ধরতে কান ব্যথা হয়ে যেত। কিন্তু এবার এখনও সেরকমটা ঘটেনি। আর এসব মিলিয়ে এরইমধ্যে মালিকরা লঞ্চের ভাড়া কমানোর চিন্তা করেছেন। যেকোনো মুহূর্তে লঞ্চের কেবিন ও ডেকের ভাড়া কমার ঘোষণাও আসতে পারে।
এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চের কাউন্টার ম্যানেজার নাসির উদ্দিন জানান, সপ্তাহের বৃহষ্পতি, শুক্র ও শনিবারের হিসেব আলাদা। আর রোববার থেকে বুধবারে প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রী কম থাকে। অর্থাৎ এ সময়টাতে ডেক, সোফা ও কেবিনের যাত্রী কম থাকে। তবে আজ কেবিনের যাত্রী অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে আহত ২ মোটরসাইকেল আরোহী তরুণের মৃত্যু
তবে এমভি সুন্দরবন লঞ্চ কাউন্টার ম্যানেজার জাকির হোসেনে মনে করেন সড়কের সঙ্গে লঞ্চের যাত্রীর হিসেব কষলে হবে না। লঞ্চে ডেকের যাত্রীরা শুয়ে-বসে ২ থেকে ৩শ’ টাকার মধ্যে ঢাকায় যেতে পারেন। আর এসব যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া দিয়ে বাসে যাবেন না। আবার লঞ্চের কেবিনে যারা যান তাদের হিসেবও আলাদা।
তিনি বলেন, রাতের বেলা কেবিনে ঘুমিয়ে যাওয়াটা সব থেকে বেশি নিরাপদ ও আরামদায়ক এসব যাত্রীর কাছে। সুতরাং এখনই আমাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। যাত্রী নৌপথে আদৌ কমবে কিনা তা আসন্ন ঈদের ছুটির পরে বোঝা যাবে। যারা বলছে যাত্রী কমেছে তারা ভুল বলছেন, কারণ ঈদের আগ মুহূর্তে এ সময়টাতে বরিশাল থেকে সব সময় যাত্রী কম থাকে।
বরিশাল নদীবন্দর সূত্র বলছে, রোববার বরিশাল নদী বন্দর থেকে এমভি অ্যাডভেঞ্চার-১, কুয়াকাটা-২, সুন্দরবন-১১, সুরভী-৭, পারাবত-১২ ও পারাবত-৯ লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ লঞ্চের অর্ধেক কেবিনও বিক্রি হয়নি।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, লঞ্চে কিছু সংখ্যক যাত্রী কমতে পারে, তবে তাও কেবিনের কিন্তু ডেকের যাত্রী কমার সম্ভাবনা নেই। যদিও সার্বিকভাবে লঞ্চের যাত্রী কমবে এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।