সিলেট-জকিগঞ্জ রোডে এখনও পানি, দ্বিগুন ভাড়ায় ট্রাক্টরে যাতায়াত
শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ বন্যা অতিবাহিত করছে সিলেট অঞ্চল। সিলেটের নিম্নাঞ্চলের অনেক ঘরবাড়ি থেকে শুরু রাস্তাঘাট সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে প্রলয়ংকরী এই বন্যা। অনেক রাস্তার মধ্যে এখনও অনেক পানি তাই সেসব রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। রাস্তায় তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এতে বন্যার পানি জমে থাকায় গভীরতা বোঝা যায় না। এই সড়কটিতে এখন শুধুমাত্র বড় বাস, ট্রাক্টর পিকআপ/কাভার্ড ভ্যান ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলতে পারছে না। বলছিলাম সিলেট-জকিগঞ্জ রোডের কথা।
সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক সিলেটের অন্যতম বড় সড়ক। এই সড়কেই হাজারও মানুষ যাতায়াত করতে হয় প্রতিনিয়ত। পূর্ব সিলেটের সাথে সিলেট শহরের যোগাযোগের জন্য এটিই একমাত্র সড়ক সংযোগ সড়ক। বন্যার জন্য এসব এলাকার মানুষের সাথে সিলেট শহরের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। যারা জরুরী প্রয়োজনে বের হন তাদের চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়। ভাড়া হিসেবে দুই থেকে তিনগুণ অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় তাদের।
সরজমিনে দেখাযায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে চারখাই নামক স্থানে ট্রাক্টরে করে যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। এতে চরম কষ্টের মধ্যে পড়তে হচ্ছে নারী যাত্রীদের। অন্য গাড়ি গুলো চলাচল না করায় ট্রাক্টরে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেন তারা।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনে কমেছে করোনা শনাক্ত
চারখাইগামী ফাহিম আহমদ নামের এক যাত্রী বলেন, তিনি গোলাপগঞ্জ থেকে চারখাই যাবেন রাস্তায় বাস ও ট্রাক্টর পিকআপ/কাভার্ড ভ্যান ছাড়া ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। বর্তমানে এই পথে বাস চলাচল একেবারেই কম। তাই ট্রাক্টর এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে। গোলাপগঞ্জ থেকে চারখাই ভাড়া মাত্র ৩০ হলেও বর্তমানে তাদের এরচেয়ে দুই/ তিনগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে যাওয়া লাগছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন ট্রাক্টর চালক বলেন বর্তমানে সড়কের যা অবস্থা সেখানে কোনো গাড়ি চলাচলের উপযোগী নয়। তেলের দাম বেশি হলেই তারা বেশি ভাড়া নিচ্ছেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী রাস্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ট্রাক্টর চালাচ্ছি।
এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো.গোলাম কবির বলেন, ট্রাক্টর কি রাস্তায় চলাচল করার কথা? কিন্তু কেউ কেউ এটা চালাচ্ছেন! এই সময়ে নৌকা ভাড়া বা বাস ভাড়া নিয়ে যা হচ্ছে তা দুঃখজনক। এই বিষয় গুলো আমাদের সবসময় তদারকি করা সম্ভব হয়না। আমি এই বিষয়টি জানলাম এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
এবিষয়ে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মুহিম বলেন, এই রোড গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই রাস্তায় বর্তমানে গাড়ি চলাচল করলে গাড়ির ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তার পরও জন ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কিছু বাস চালু রেখেছি। তবে তা পর্যাপ্ত নয় এরজন্য হয়ত ট্রাক্টর এই সুযোগ টা নিচ্ছে। তবে কোন বাস যদি নিয়মের বেশি ভাড়া নিচ্ছে এমন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।