গাড়ি বহরের পক্ষে কত টাকা টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী?

পদ্মা সেতুতে প্রথম টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পদ্মা সেতুতে প্রথম টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গাড়ি বহরের পক্ষে পদ্মা সেতু পার হওয়ার জন্য ১৬ হাজার ৪০০ টাকা টোল দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী যে গাড়িতে ছিলেন সেই গাড়ির জন্য তিনি ৭৫০ টাকা টোল দিয়েছেন।

শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টায় মাওয়ায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তার গাড়ির সাথে থাকা ১৮টি গাড়ি নিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে সেতুর জাজিরা প্রান্তে যান।

প্রধানমন্ত্রীর ১৪ হাজার ৪০০ টাকা টোল দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টোল আদায়কারী তানিয়া আফরিন।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন: আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, কিন্তু পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখেছি

বক্তব্যের শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাসের এক বিশেষ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলার মানুষের গর্বের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এ সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ পরামর্শক, ঠিকাদার, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, শ্রমিক, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ জানাই পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের অধিবাসীদের যাদের জমিজমা ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের এ ত্যাগ ও সহযোগিতা জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত, গর্বিত ও উদ্বেলিত। অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্ত পদ্মার বুকে আজ বহু কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে। এ সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহা বা কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়, এ সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক। এ সেতু বাংলাদেশের জনগণের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা আর জেদ।

শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্রের ফলে আমাদের সেতু নির্মাণ খানিকটা বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু আমরা হতোদ্যম হইনি। শেষ পর্যন্ত অন্ধকার ভেদ করে আমরা আলোর মুখ দেখেছি। পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি আলোর ঝলকানি। ৪১টি স্প্যান যেন স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না, পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি। তারুণ্যের কবি, দ্রোহের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় তাই বলতে চাই, ‘সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয় : জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার/তবু মাথা নোয়াবার নয়।’ আমরা মাথা নোয়াইনি।


সর্বশেষ সংবাদ