ড. ইউনূস কীসের ডাক্তার?
সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, আমাদের দেশে একজন ডক্টর আছেন। ড. ইউনূস। উনি পশুর ডাক্তার? না মাছের ডাক্তার,না গরুর ডাক্তার? বাংলাদেশের মানুষের সর্বনাশার ডাক্তার। উনি নাকি শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। উনি বাংলাদেশের জন্য এ পর্যন্ত যা করেছেন, বাংলাদেশের পাই পয়সারও ভালো করেন নাই, ক্ষতি করে গেছেন। সুদ খাইয়েছেন। একজন সুদখোর।
রোববার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির করা ভ্যাকসিন কিনতে দুর্নীতির অভিযোগের জবাবে শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি সব কিছুতেই দুর্নীতি খোঁজে। ওদের মাথার ভেতরে দুর্নীতি। ওদের রক্তে দুর্নীতি। সেজন্য ওরা সবকিছুতেই দুর্নীতি দেখে। অন্যকিছু ওদের চোখে পড়ে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিভিন্ন দাতা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। জাপান, এডিবিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা রাজি নয়। কিন্তু মাঝখানে একজন ড. এসে ঢুকলেন। তার ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এসে বললো, দুর্নীতি হয়েছে। কী দুর্নীতি হয়েছে? এক পয়সা দেয়নি। একটি টাকা দেয়নি। বলে দুর্নীতি হয়েছে। কী বিচিত্র। এরা মানুষের শত্রু।
‘ড. ইউনূস সাহেব আর বাংলাদেশে কিছু কথিত বুদ্ধিজীবী আছেন। তারা সবসময় নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গির। বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাক এরা কোনোদিন চিন্তা করেন না।’
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, উনি (ড. ইউনূস) যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে দিয়েছেন, এই টাকা কোত্থেকে দিয়েছেন তা তদন্ত করুন। এটা মানি লন্ডারিংয়ের টাকা। বিশ্বব্যাংকের কাছে তিনি (ড. ইউনূস) বিক্রি। আমাদের কিছু বিএনপি ও বিদেশিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে পদ্মা সেতু বন্ধের চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি বলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে। শ্রীলঙ্কা হলে কি তারা খুশি হবে? বাংলাদেশ ধ্বংস হলে ওরা খুশি হয়। আপনারা কি বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাবেন? বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি খুব মজবুত। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না। প্রধানমন্ত্রী যে ধারায় উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন তাতে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হবে। মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড হবে।
বিএনপি কথায় কথায় বলে সরকারকে টেনে নামাবে, এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ওরা আওয়ামী লীগকে ২০০৯ সাল থেকে টানা আরম্ভ করেছে। আপনারা যত টানবেন আমাদের ক্ষমতা তত বাড়বে। ২০২২ সালে এসেছি। আরেকবার টান দিলে আমরা ২০৫০ সালে চলে যাবো।
তিনি বলেন, বিএনপি বিদেশিদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করে। দেশের ভাবমূর্তি ও ইজ্জত নষ্ট করে। বিদেশিদের কাছে ধরণা দেয়। বিদেশিরা বাংলাদেশে কোনো কিছু করতে পারবে না। বাংলাদেশের ভাগ্য এদেশের জনগণ নিয়ন্ত্রণ করবে। বিদেশিরা নিয়ন্ত্রণ করবে না। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশে যেমন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে।