বিদ্যুৎহীন সিলেটে মোমবাতিও মিলছে না
অব্যাহত বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আজ শনিবার দুপুর থেকে সিলেট জেলা সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাওয়ার গ্রিড স্টেশনে বন্যার পানির প্রবেশ করায় এই পরিস্থিতির তৈরি হয়। বিকল্প আলোর ব্যবস্থাতেও চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নগরীর কোথাও মোমবাতি পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার থেকেই মোমবাতির সংকট দেখা দেয়। আজ থেকে সেই সংকট চরমে পৌঁছেছে। কোনো দোকানে মোমবাতি পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে পাইকারি এলাকার দোকানগুলো পানিতে ডুবে গেছে। তাই স্থানীয় দোকান থেকে কোনো সরবরাহ নেই। ফলে, মোমবাতির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এ ছাড়াও, অনেক এলাকায় দোকানপাট ডুবে যাওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেরও সংকট তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সংকট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছেন দুর্গতরা। কিছু কিছু দোকান খোলা আছে এবং সেগুলোতে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। সরবারহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় নিত্যপণ্য আসতে পারছে না। এখন একটু বৃষ্টি কমেছে, তাই মানুষ দোকানগুলোতে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: আরও ১৪ জেলায় হতে পারে ভয়াবহ বন্যা
নগরীর বালুচর এলাকার সাদি স্টোশনারির স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুর রহিম বলেন, পাইকারি পণ্যের সাপ্লাই নেই। যা ছিল তা দিয়ে আপাতত দোকান খোলা রেখেছি। কিন্তু, যা আছে শুধু সেগুলোই বিক্রি করতে পারছি। নতুন কিছু আসছে না। আমার এখানে মোমবাতিও গতকাল শেষ হয়েছে। এর বাইরে কেরোসিন তেলের সরবরাহও বন্ধ আছে। আমাদের কাছে কেরোসিন তেলের কোন মজুদও নেই।
তিনি আরও বলেন, ডিমও আসছে না। তেলেরও সংকট দেখা দিচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পরিমাণ কমে আসছে। আমরা কোনো সরবরাহ পাচ্ছি না। এমনকি পাইকারি পণ্যও পাচ্ছি না। এছাড়া, চিড়ার পরিমাণ কমে আসছে। আমার এখানে শুকনো খাবার যেমন চিড়া-মুড়ি শেষ হয়ে গেছে।
সিলেটের আম্বরখানা এলাকার বাসিন্দা এম.এ হান্নান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কিছু সুযোগ-সন্ধানী ব্যবসায়ী আছেন যারা সুযোগ পেলেই কিভাবে পন্যের দাম বাড়াবে সেই অপেক্ষায় থাকেন। যারা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ সঙ্কট পরিস্থিতি সবার এগিয়ে আসা উচিৎ। নিত্যপণ্যের এ সঙ্কটের মাঝে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা বৃদ্ধি করতে হবে।