১৬ জুন ২০২২, ১২:৫৮

প্রশ্ন ফাঁস ও জিপিএ ফাইভ বিক্রির হোতা সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস মন্মথ

মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ  © সংগৃহীত

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের এপিএস মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈকে গত মঙ্গলবার চাকরি থেকে স্থায়ীবাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি ছিলেন শিক্ষা সেক্টরের বিশাল এক মাফিয়া। শিক্ষাখাতের পি কে হালদার নামে পরিচিত এই কর্মকর্তাকে বহিষ্কারে পর তার ব্যপারে মুখ খুলছেন অনেকেই। বেরিয়ে আসছে তার নান অপর্মের খবর। বিশেষ করে এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ বিক্রি, প্রশ্ন ফাঁসের দীর্ঘ দিনের অভিযোগের নানা কাহিনীও এখন বের হচ্ছে। 
 
সূত্র জানায়, শিক্ষা খাতের নানা অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের এপিএস মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ। অভিযোগ রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বাড়ির ফুটফরমায়েশ খাটুরে ও সাবেক এপিএস এবং জিপিএ ফাইভ বিক্রি, প্রশ্ন ফাঁসসহ নানা অপকর্মের। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাত দিন আগে গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি। তবে, তার সিন্ডিকেটে কিছু সদস্য এখনো গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন এবং গোপনে এখনও লুটপাট করে চলছেন।

আরও পড়ুন: বিদায় অনুষ্ঠানের দিন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পেটালেন শিক্ষক

অভিযোগা রয়েছে ছাত্র পাঠানোর নামে বিদেশে আদম পাচার ও বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ একটি কলেজের কাছে জিপিএ ফাইভ বিক্রি, প্রশ্ন ফাঁসসহ নানা অপকর্মে নিযুক্ত ছিলেন বাড়ৈ। বদলি বাণিজ্য, এমপিওভুক্তি, শিক্ষা প্রকৌশলে লুটপাট এবং শিক্ষা ক্যাডারকে তছনছ করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তার অসংখ্য বান্ধবী এখনও শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে। তিনি শিক্ষা খাতের পি কে হালদার হিসেবে পরিচিত।

নুরুল ইসলাম নাহিদের পদ চলে যাওয়ার পর সরকারের অনুমতি ছাড়া দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি। শিক্ষা ক্যাডারের এ সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সব পদে তারই পছন্দের ও দুর্নীতিবাজদের পদায়নের অভিযোগ আছে। কর্মস্থলে যোগদান না করে দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

বাড়ৈকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারি খুলনার বিএল কলেজে পদায়ন করা হয়। আদেশে তাকে ওই বছরের ১২ এপ্রিলের মধ্যে যোগদান করতে বলা হলেও বাড়ৈ যোগদান করেননি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে তাকে পলায়নে অভিযুক্ত করে শোকজ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে জানুয়ারিতে তাকে আবার শোকজ করা হয়।

পরে তাকে ১০ দিনের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদান না করার কারণ লিখিতভাবে জানাতে এবং তিনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কি না তাও জানাতে বলা হয়েছিল। তিনি প্রশাসনিক এসব প্রক্রিয়ায় যুক্ত হননি। তাই তাকে চাকরিচ্যুত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।