১৫ জুন ২০২২, ১৮:৪৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগেই থাকবে ইতিহাস ঐতিহ্য-সাধারণ জ্ঞান

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সাধারণ জ্ঞান পড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, এতে শিক্ষার্থীদের সফট স্কিলের ওপর দক্ষতা তৈরি করা হবে। সেভাবেই উচ্চশিক্ষার কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে। বুধবার (১৫ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবা উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ্র, অতীশ দীপঙ্করের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলি শিকদার।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা নিয়ে বের হয়ে চাকরি যোগাতে হাবুডুবু খেতে হচ্ছে। তাদের সফট স্কিল না থাকায় এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামেও পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস ঐতিহ্য ও সাধারণ জ্ঞান পড়ানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া-লেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সফট স্কিলের ওপর দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল তৈরিতে ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্কিল তৈরি করা হবে। যেন তারা পাস করে নিজের কর্মস্থল নিশ্চিত করতে পারে। বঙ্গবন্ধু অবতৈনিক, সার্বজনীন ও কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের সব শিক্ষার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। মুখস্ত বিদ্যায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, কিন্তু কোথাও কাজে লাগে না। শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষা ভিত্তি ও বাড়তি চাপ তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে আমরা সরে আসছি।

তিনি বলেন, আমাদের গণিত, জ্যামিতি, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আর মুখস্ত করার প্রয়োজন হবে না। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা এখন তা হাতে কলমে শেখার সুযোগ পাবেন। আনন্দের সঙ্গে তারা শেখার সুযোগ পাবেন। নিজেরাই আবার সেটি আলোচনার মাধ্যমে ভুল সংশোধন করে নেবে।

তবে আগে যা পড়ানো হতো সেটি ভুল ছিল না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাঠ্যপুস্তকে আগে যা ছিল তার সঙ্গে আরও কিছু যুক্ত করা হচ্ছে। ভাষা, দক্ষতা ও রাষ্ট্রের আদর্শ নিয়ে শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠবে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি দেওয়া হয়। এসময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।