পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন খালেদা জিয়া

 মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  © সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নবনির্মিত পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।’ রোববার (৫ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতুকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। তবে পদ্মা সেতু কারো একক সম্পত্তি না। সম্মিলিত রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে। এই পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। একইসঙ্গে মাওয়ার পাড়ে ও ফরিদপুর সাইটে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে কিন্তু মানুষের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই’

তিনি বলেন, যমুনা সেতুর কাজও করেছে বিএনপি। তবে তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় বসেই সব কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করতে শুরু করে। একজনের নামেই সকল ব্যানার, ফেস্টুন ও মূর্তি তৈরি হয়ে যায়। তারা সেতুর নামটাই পরিবর্তন করে দিলো। বিএনপির অবদান তারা কখনই স্বীকার করে না।

এদিকে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ল্যাম্পপোস্ট প্রজ্বলিত করা হয়েছে। শনিবার (৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেতুর ১২ নম্বর স্প্যানের ল্যাম্পপোস্টগুলো প্রজ্বলন করা হয়।

২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ৬.১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪৬টি ও মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয় গত ১৮ এপ্রিল।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি সাড়ে ৯৪ শতাংশ। আর মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৯ শতাংশ। মূল্য সেতুর বাকি থাকা একভাগ কাজের মধ্যে ক্যাবল লেইং, রোড মার্কিং, হ্যান্ড রেলিং, মুভমেন্ট জয়েন্ট প্যারাপেট, সাবস্টেশনের কাজ চলমান। এছাড়া গ্যাস পাইপলাইন ৯৯ দশমিক ২৫ শতাংশ ও ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ লাইনের ৯৯ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। ২৫ জুন উদ্বোধনের পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতুর সড়কপথ।