লরির ধাক্কায় নিহত ৬, পদ্মা সেতু দেখা হলো না তাদের
ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সার্ভিস রোডে এস্ককাভেটর বহনকারী লরি ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর আহত অবস্থায় বাকি দুজনকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজনের মৃত্যু হয়। অন্য জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া এলাকার আর্মি ক্যাম্পের কাছে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন চাঁদপুরের ২০ বছর বয়সী আব্দুস সামাদ গাজী, ২০ বছর বয়সী সিফাত ও ২০ বছর বয়সী আহাদ, বাগেরহাটের ১৮ বছর বয়সী তমাল, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের ২৫ বছর বয়সী নাঈম এবং জনি।
আরও পড়ুন: মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৪ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
হাসারা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির আহমেদ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সামাদের চাচাতো ভাই মো. রুবেল জানান, পদ্মা সেতু দেখার জন্য তিন বন্ধু চাঁদপুর থেকে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে মুন্সীগঞ্জের আরেক বন্ধু তাদের যোগ দেন। রাতে বন্ধুর বাসায় থেকে শুক্রবার তাদের পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
তেঘড়িয়া এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই চালকসহ ছয়জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন চার বন্ধু, আরেক যাত্রী এবং অটো চালক।
সামাদের বন্ধু রাব্বি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার বন্ধুরা ঘুরতে যাবে বলে জানায়। আমাকেও যাওয়ার জন্য বলেছিল। আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় আমি যেতে পারিনি। তারা রওনা দেয়ার পর কয়েকবার ইমোতে কথা হয়েছে। পরে রাতে এই দুর্ঘটনার খবর পাই।’
পুলিশ পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করেছে।