মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৪ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
গত এক মাসে সারা দেশে ৪ হাজার ৬৩১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২৯ জনের মৃত্য হয়েছে। এ সময় আহত ৩ হাজার হয়েছেন ৫৯৪। নিহতদের মধ্যে ৪৪৪ জনই শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোডের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের ২৬ টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক্স চ্যানেলে প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে সেভ দ্য রোড এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের ৭৭২ রয়েছেন। ২৪১ জন নারী, শিশু ৯৭ এবং ৮১ জন ষাটোর্ধ্ব। শিক্ষার্থী এবং তরুণদের অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চালানোর কারণে। অন্যান্য বাহনগুলোতেও প্রায় একই সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার সব বাহনের অধিকাংশ চালকের বয়সই ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে।
আরও পড়ুন: ‘ওরা কি বিশ্বকাপ জিতে গেছে?’, মেসিদের উল্লাস নিয়ে নেইমার
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নিয়ম না মানা এবং হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ১ হাজার ৩৬৭ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত ৯৯৪ এবং নিহত হয়েছে ২৭৫ জন। অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ৮৩২ টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৩৭ এবং নিহত হয়েছে ১২১ জন; খানা খন্দক, অচল রাস্তা-ঘাট আর সড়কপথ নৈরাজ্যের কারণে ১ হাজার ১১৬ টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১ হাজার ১০৬ জন এবং নিহত হয়েছে ৫২০ জন; পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সাথে চলাচলের কারণে লড়ি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিক্সা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ১১৬ টি আহত হয়েছে ৮৫৭ জন এবং ২২২ জন নিহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত এক মাসে নৌপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৪৪ টি। আহত ৫২১ জন, নিহত হয়েছে ২৩ জন; রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ২১২ টি। আহত হয়েছে ২৮৬ জন, নিহত হয়েছে ২১ জন। আকাশপথে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার কারণে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে ৫৬ জনকে।