সম্রাটের জামিন বাতিল, ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
দুর্নীতির মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে সাত দিনের মধ্যে সংসশ্লিষ্ট আদালাতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
পরে খুরশিদ আলম খান জানান, দুর্নীতির মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আইন অনুযায়ী মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করে পরে সম্রাটের আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারেন আদালত।
গত ১১ মে অবৈধ সম্পদের মামলায় সম্রাটের পক্ষে করা জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান।
চারটি মামলার মধ্যে তিনটিতে আগেই জামিন পেয়েছিলেন সম্রাট। ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা ছিল না। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন আছেন সম্রাট।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে এখন তিনি কারাগারে আছেন।