বিদায়ী চেয়ারম্যানদের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন
সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যানদের জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ [জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী সংশোধিত] এর ধারা ৮২ এর উপধারা (২) অনুযায়ী দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে সর্বশেষ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। একইসঙ্গে নতুন জেলা পরিষদের প্রশাসকদের তালিকাও প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর আগে দুপুরে জেলা পরিষদের সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যানদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সদ্য সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরাই জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন। আজই আমরা প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। তাদের দায়িত্ব আজ থেকেই শুরু হবে। তবে প্রশাসক হিসেবে তাদের মেয়াদ কোনোভাবেই ছয় মাসের বেশি হবে না।
গত ১৭ এপ্রিল মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ বিলুপ্ত করে সরকার। এদিন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ তানভীর আজম ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের মেয়াদ প্রথম সভার তারিখ থেকে ৫ বছর উত্তীর্ণ হওয়ায় পরিষদগুলো বিলুপ্ত হয়েছে।
সংশোধিত জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদের ‘সচিব’ পদের নাম বদলে ‘নির্বাহী কর্মকর্তা’ করা হয়। গত ১৮ এপ্রিল এক আদেশে সব জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাদের তা জানিয়ে দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ।
জেলা পরিষদের প্রশাসক হলেন যারা-
ঢাকা বিভাগ: ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহিউদ্দিন, গাজীপুরে আখতারুজ্জামান, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক, কিশোরগঞ্জে জিল্লুর রহমান, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, নরসিংদীতে আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জে আনোয়ার হোসেন, রাজবাড়ীতে ফকির আব্দুল জব্বার, ফরিদপুরের শামসুল হক, গোপালগঞ্জে চৌধুরী এমদাদুল হক, মাদারীপুরে মুনির চৌধুরী, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান।
আরও পড়ুন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩ জুলাই
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, শেরপুরে হুমায়ুন কবির ও জামালপুরে ফারুক আহমেদ চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বিভাগ: চট্টগ্রামে মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, কক্সবাজারে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, নোয়াখালীতে ডা. এ বি এম জাফর উল্লাহ, লক্ষ্মীপুরে মো. শাহজাহান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোহাম্মদ শফিকুল আলম, কুমিল্লায় আবু তাহের, চাঁদপুরে ওচমান গনি পাটোয়ারী, ফেনীতে খায়রুল বাশার মজুমদার।
রাজশাহী বিভাগ: রাজশাহীতে মোহাম্মদ আলী সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোহাম্মদ আশরাফুল হক (যিনি সর্বশেষ প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন), নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বী, বগুড়ায় মকবুল হোসেন ও জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান, সিরাজগঞ্জে মো আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান।
রংপুর বিভাগ: রংপুর জেলা পরিষদে বেগম ছাফিয়া খানম, পঞ্চগড় জেলা পরিষদে মো. আনোয়ার সাদাত, ঠাকুরগাঁওয়ে মু. সাদেক কুরাইশী, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নীলফামারীতে জয়নাল আবেদীন, লালমনিরহাটে মো. মতিয়ার রহমান, কুড়িগ্রামে মো. জাফর আলী ও গাইবান্ধায় মো. আতাউর রহমান।
সিলেট বিভাগ: সিলেটে জয়নাল আবেদীন (যিনি সর্বশেষ প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন), সুনামগঞ্জের নুরুল হুদা মুকুট, মৌলভীবাজারে মিছবাহুর রহমান এবং হবিগঞ্জে ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী।
খুলনা বিভাগ: খুলনায় শেখ হারুনুর রশিদ, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাতক্ষীরায় মো. নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়ায় রবিউল ইসলা, চুয়াডাঙ্গায় শেখ সামসুল আবেদিন, ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস, যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, মেহেরপুরে গোলাম রসুল, মাগুরায় পঙ্কজ কুমার কুন্ডু ও নড়াইলে মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ (যিনি সর্বশেষ প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন)।
বরিশাল বিভাগ: বরিশালে মইদুল ইসলাম, বরগুনায় মো. দেলোয়ার হোসেন, পটুয়াখালীতে খলিলুর রহমান এবং ভোলায় আব্দুল মুমিন টুলু।