২০ এপ্রিল ২০২২, ১৫:১৬

নিউ মার্কেটের ঘটনায় পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে

সংবাদ সম্মেলন   © সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার জানিয়েছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রথমত নিবৃত করার চেষ্টা করে। এর জন্য নেগোসিয়েশন ও উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করা হয়। একটি মানুষ নিহত তো দূরের কথা আহত যেন না হয়, পুলিশ সে চেষ্টাই করে। গতকাল অনেকে আহত হয়েছেন ও অনাকাঙ্খিতভাবে এক কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী নিহত হয়েছেন। পুলিশ কিন্তু শুরু থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকাই পালন করেছে।

বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সংঘর্ষে রমনার এডিসির ভূমিকা, গুলি-বারুদ শেষ হওয়ায় অন্য পুলিশ সদস্যকে থাপ্পড় বিষয়ে তিনি বলেন, উভয়পক্ষকে নিয়ে পুলিশ শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পুলিশের সমঝোতা ছাড়া উপায়ও থাকে না। দ্বিতীয়ত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয়পক্ষকেই সরে যেতে বলেছি। তৃতীয়ত, নন লেথাল উইপেন ব্যবহার করা। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। পুলিশ সেটাই কাল করেছে। তবে এতো কিছুতে পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক করা সম্ভব না হয় তখন পুলিশ কঠোর ডিসিশনে যায়।

আরও পড়ুন : লোকসান ২০০ কোটি টাকা, দাবি ব্যবসায়ীদের

হাফিজ আক্তার বলেন, এডিসি থাপ্পড় মারা ও গুলি শেষ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আপাতত পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাতেই মনোযোগী।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সামনে ঈদ। কালকে থেকে কলেজগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তুচ্ছ ঘটনা থেকে সূত্রপাত হওয়া সংঘাতের সমাপ্তি জরুরি। ব্যবসায়ীদের সন্তানরাও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ঈদকে কেন্দ্র করেই তাদের ব্যবসা, সারা বছর তারা বসে থাকেন। তাদেরও পরিবার আছে। ছাত্রদের আহ্বান করবো, সংঘাতে না যাই, ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়। সবাই সবার মতো নিজের কাজ করি। সংঘাতে না জড়াই, সংযম রক্ষা করি।