৩ দাবিতে গণভবন অভিমুখী পদযাত্রা সোহেল তাজের
তিন দাবিতে পদযাত্রা করে গণভবনে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজ। আজ রবিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে এ পদযাত্রা করে এসব দাবি জানান তিনি।
এসব দাবির মধ্যে রয়েছে- ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।
পদযাত্রায় আরও অংশ নেন তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে মাহজাবিন আহমেদ মিমি, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজসহ সোহেল তাজের শতাধিক শুভাকাঙ্ক্ষী ও প্রহরী ৭১ এর সংগঠকেরা।
গণভবনের সামনে সোহেল তাজ বলেন, আজকের দিনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার লক্ষ্যে প্রথম সরকার গঠিত হয়। এই মুজিবনগর দিবসে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি দাবি নিয়ে এসেছি। এক. আজকের এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। দ্বিতীয়. আপনারা জানেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করার পর মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় ৪ নেতাকে কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ৪ নেতা জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন তাঁরা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। তাই ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করতে হবে। তৃতীয়. মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সামরিক, বেসামরিক, রাজনৈতিক ও কূটনীতিকসহ যারা সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন তাঁদের জীবনী, ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ আমি মনে করি আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে যদি কোন ফাঁক থাকে তাহলে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সেগুলো পূরণ করার সুযোগ পাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি সুন্দর সোনার বাংলা গড়তে চাইলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই ইতিহাস থেকেই আমরা প্রাণশক্তি খুঁজে পাব। তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গভাবে তুলে ধরতে হবে।
গণভবনে স্মারকলিপি গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সংসদ ভবন থেকে হেঁটে গণভবনে স্মারকলিপি দিতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন। আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একমাত্র ব্যক্তি যিনি এই তিনটি দাবি বাস্তবায়ন করতে পারবেন। তার প্রতি আমার আস্থা আছে। আশা করি অতি সত্তর তিনি এই তিনটি দাবি পূরণ করবেন।