১০ এপ্রিল ২০২২, ১৫:০৩

মেডিকেলে চান্স পাওয়া হারিছার পাশে দাড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ

হারিছার পাশে দাড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ   © সংগৃহীত

রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া বরিশালের বানারীপাড়র দরিদ্র রিকশাচালক মিজানুর রহমানের মেধাবী কন্যা সাদিয়া আফরিন হারিছার লেখাপড়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে আর দুশ্চিন্তা রইল না হারিছার।

মেডিকেল কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে পাঁচ বছরের এমবিবিএস কোর্স করার খরচ বহন করবেন তারা। এ ছাড়া হারিছার অন্য তিন মেধাবী বোনের লেখাপড়ার খরচও বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। এতে খুশি হারিছা ও তার পরিবার।

বসুন্ধরা গ্রুপ জানায়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘মেডিক্যালে চান্স পেয়েও হারিছার চোখে অন্ধকার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরেই বিষয়টি নজরে আসে তাদের। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে হারিছার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

পরে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বানারীপাড়া পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে হারিছার বাড়ি গিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহা পরিবারের হাতে এই উপহারসামগ্রী তুলে দেন। হারিছাসহ তার তিন বোনের লেখাপড়ার দায়িত্ব এবং তার পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

আরও পড়ুন: ভ্যানে গাছের চারা বিক্রি করা তাজগীর সুযোগ পেলেন মেডিকেলে

মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার ও রাজিয়া দম্পতির তৃতীয় মেয়ে সাদিয়া আফরিন হারিছা। চার বোনের লেখাপড়াসহ পরিবারের সার্বিক দায়িত্ব নেওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন হারিছা, তার মা-বাবাসহ এলাকাবাসী। তারা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

জানা যায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৭৮ নম্বর পেয়েছেন সাদিয়া আফরিন হারিছা। কিন্তু সেখানে ভর্তি হতে পারবেন কি না তা ছিল অনিশ্চিত। কারণ তার লেখাপড়ার ব্যয় বহনের সামর্থ্য রিকশা শ্রমিক বাবার নেই।

উল্লেখ্য, হারিছার বড় বোন ফারজানা আক্তার সাথী বরিশাল বিএম কলেজে এমএ ফাইনাল পর্ব, মেজো বোন শারমিন আক্তার বানারীপাড়া ডিগ্রি কলেজে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষ ও ছোট বোন হাবিবা বানারীপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শাখায় নবম শ্রেণিতে পড়ে।