মায়ের কলে বাসায় ফেরা হলো না গুলিবিদ্ধ কলেজ ছাত্রী প্রীতির
চারদিন ধরে বান্ধবীর বাসায় ছিলেন। পশ্চিম শান্তিবাগে নিজেদের বাসায় ফেরার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রওনা করেন কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি। বাসার কাছাকাছি এলে মোবাইলে হঠাৎ মায়ের ফোন। চট্টগ্রাম থেকে মামা-মামী আসায় তাকে আরেকদিন বান্ধবীর বাসায় থেকে আসতে বললেন মা। যে কারণে কাছাকাছি এসেও বাসায় ফিরতে পারেননি প্রীতি। প্রীতি আর কখনোই বাসায় ফিরবেন না। ঘাতকের বুলেটের আঘাতে প্রাণ হারান তিনি। সরকারি বদরুন্নেসা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রীতি।
বৃহস্পতিবার রাতে শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। সেই গুলিতে নিহত হন রিকশায় থাকা প্রীতি। গুলিতে মারা যান টিপুও।
বান্ধবী সুমাইয়া বলেন, মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পশ্চিম শান্তিবাগে ভাড়া বাসায় থাকতেন প্রীতি। রিকশার ওঠার কিছুক্ষণ পরই একটি শব্দ শুনেন তারা। এরপরই দুইজনই রিকশা থেকে পড়ে যান। প্রীতির গোয়ে রক্ত দেখে আশেপাশের লোকজন বলেন গুলি লেগেছে। ঢাকা মেডিকেলে আসার পর প্রীতিকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন- রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে কলেজছাত্রীসহ নিহত ২
এদিকে ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গেছেন প্রীতির মা। মেডিকেলে এসে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন তিনি। আমি কী জানতাম এমন দুর্ঘটনা ঘটবে- এই বলে মাতম করছেন তিনি।
প্রীতির বাবা জামালউদ্দিন বলেন, প্রীতির মোবাইল থেকে একটা কল আসে। পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদের ঢাকা মেডিকেলে আসতে বলে। তখনো এমন দুর্ঘটনার কথা জানতাম না। এসে দেখি প্রীতি আর নেই। তার পিঠে গুলি লেগেছে।