পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার জমা পড়ল ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

টাকা ছাড়াও  জমা পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা
টাকা ছাড়াও জমা পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা  © সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক এবার চার মাস ৬ দিন পর খোলা হয়েছে। আজ শনিবার (১২ মার্চ) সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। এসব দান সিন্দুক খোলার কাজ শেষ করতে এক ঘণ্টা সময় লাগে।

সকাল ১০টার দিকে আটটি দান সিন্দুক থেকে বের করা টাকা ১৫টি বস্তায় ভরা হয়। এছাড়া পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও। দিনভর গুনে পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা। এছাড়া জমা পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।

সর্বশেষ গত বছরের ৬ নভেম্বর দানবাক্সে জমা পড়েছিল ৩ কোটি ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা। তখন দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল ৪ মাস ২৬ দিন পর। কিন্তু এবার চার মাস যেতে না যেতেই এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা জমা পড়ল দানবাক্সগুলোয়।

টাকা ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ নানা ধরনের জিনিস দান করেন বিভিন্ন জেলার অসংখ্য মানুষ।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দান সিন্দুর খোলার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। এবার ৪ মাস ৬ দিন পর দান সিন্দুক খোলা হলো।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আজ সকালে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। বাক্সগুলো থেকে টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। তারপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বস্তা থেকে টাকাগুলো মসজিদের দ্বিতীয় তলায় মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। এতে অংশ নেন মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ ও মসজিদ কমিটির ৩৪ জন।

মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূইয়া জানান, মসজিদে দানবাক্স রয়েছে আটটি। সেখানে প্রতিনিয়ত মানুষ সহায়তা দিয়ে থাকেন। করোনা সংক্রমণের শুরুতে মসজিদে মুসল্লিদের চলাচল এবং নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকলেও দান অব্যাহত ছিল।

পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের হাফিজিয়া মাদ্রাসার খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ