এসএসসিতে ‘ধর্ম’ বাদ দেওয়ার প্রস্তাবে হেফাজতের নিন্দা
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে ইসলামি চেতনাবোধ মুছে ফেলা ও নাস্তিক্যবাদী ধ্যান-ধারণার প্রসার ঘটানোর ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশ হয়ে থাকতে পারে। ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে এ জাতীয় সিদ্ধান্ত জাতি কখনো মেনে নেবে না। আমরা অবিলম্বে এ সুপারিশ বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি
আরও পড়ুন: ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া
বিবৃতিতে অবিলম্বে এ সুপারিশ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের দুই নেতা। তারা বলেন, এসএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা না থাকলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের কাছে ওই বিষয়ের আর গুরুত্ব থাকে না। তখন সংগতভাবেই ধর্মীয় শিক্ষা গুরুত্ব হারাবে। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে নাস্তিক্য ধ্যানধারণার প্রসার ঘটাবে। এর প্রভাবে দেশে মাদকের কারবার, খুনখারাবি, অপরাধপ্রবণতা, ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন বাড়বে। পরিবার ও সমাজব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। ভোগবাদের প্রতি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও বেশি ঝুঁকে পড়বে।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, এসএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা না থাকলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের কাছে ওই বিষয়ের আর গুরুত্ব থাকে না। তখন সঙ্গতভাবেই ধর্মীয় শিক্ষা গুরুত্ব হারাবে। এতে ভবিষ্যত প্রজন্ম ইসলাম থেকে দূরে সরে যেয়ে নাস্তিক্য ধ্যান-ধারণার প্রসার ঘটাবে। দেশে মাদকের কারবার, খুন-খারাবি, অপরাধ প্রবণতা, ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন বাড়বে। পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের নিয়ে গঠিত ‘আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি’ এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষাক্রম নিয়ে এক গুচ্ছ সুপারিশ তুলে ধরে। সেখানে এসএসসি পরীক্ষায় ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, ধর্ম, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়ছে।