০৪ মার্চ ২০২২, ১০:৫০

তেলের লিটার ২শ টাকা, গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য ১৩৯১

তেলের লিটার ২শ টাকা, গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য ১৩৯১  © ফাইল ফটো

কয়েক মাস ধরেই দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ, চিনিসহ প্রায় সব পণ্যের দামই বেড়েছে। তবে ভোজ্যতেল ও গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে রীতিমতো বেসামাল অবস্থা।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে ক্রেতাকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়েছে। আর এদিন সন্ধ্যা থেকে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজির মূল (ভ্যাটসহ) এক হাজার ৩৯১ টাকা কার্যকর করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

গত বুধবার রাত থেকেই খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে গিয়ে একই চিত্র দেখা গেল। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন কিনতে ক্রেতাকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়েছে। অন্যদিকে গত নভেম্বরে ১২ কেজির এলপি গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ এক হাজার ৩১৩ টাকা করা হলেও পরের মাসগুলোতে কমে যায়। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে কমলেও ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ২৪০ টাকায়। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার আরও এক দফা বাড়িয়ে এক হাজার ৩৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আরও পড়ুন: প্রভোস্ট হলেন হোটেল ম্যানেজার, প্রক্টর নিরাপত্তা কর্মকর্তা

সয়াবিন তেলের এমন মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে এখন বিপুল পরিমাণ তেল আছে। খোলা তেলও রয়েছে। কিন্তু বাজারে বিক্রেতারা খোলা তেল সরিয়ে রেখেছে। এজন্য সংকট দেখা দিয়েছে। তবে আমরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা করব। অসাধুদের আইনের আওতায় আনব। সেক্ষেত্রে আমরা এবার জেলেও পাঠাব। ইতোমধ্যেই আমরা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছি। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

আরও পড়ুন: রাশিয়ার গোলায় জ্বলছে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে এলপিজি গ্যাস পরিবেশক সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি খোরশেদুর রহমান বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবের নামে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকারি রেগুলেটরি অথরিটিকেও দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনেকটা বাধ্য করা হচ্ছে। এখন বাজারে ১২ কেজির এলপিজির দাম এক হাজার ৩৯১ টাকা করা হয়েছে। অথচ সরকারি এলপিজিএলের দাম অর্ধেকের চেয়েও কম। এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা বাড়ানো গেলে সাধারণ ভোক্তারা সুফল ভোগ করতো।’