২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩:৪০

বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণ তালিকায় মাদ্রাসা পড়ুয়া, প্রকৌশল ছাত্রও

গ্রেফকারকৃত ছয় আসামী  © সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা ধর্ষণের দায় শিকার করেছে। গ্রেফকারকৃত ছয় আসামীর মধ্য একজন প্রকৌশলী, দুইজন স্নাতক, দুইজন মাদরাসা ও একজন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

আরও পড়ুন: বাইকে ঘুরাতে নিয়ে জাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

র‌্যাব জানান, গ্রেফতারকৃদের মধ্য তূর্য মোহন্ত খুলনার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৮ সালে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে, তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ার জন্য বিদেশ যান। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ শেষ বর্ষে থাকাকালীন কোভিড পরিস্থিতির কারণে সে দেশে চলে আসে এবং গোপালগঞ্জে সদরে গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে একটি মারামারির মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

মোঃ হেলাল ও নাহিদ রায়হান স্থানীয় কলেজে স্নাতক ২য় বর্ষে অধ্যয়ণরত। হেলাল একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার (DSO) হিসেবে চাকুরী করত।

রাকিব মিয়া ইমন স্থানীয় একটি মাদ্রাসা হতে দাখিল ও আলীম পাশ করেন। সে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে রিসেপশনিস্ট হিসেবে চাকুরী করত। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে মাদক ও মারামারির মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

প্রদীপ বিশ্বাস স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করে। সে গোপালগঞ্জে হোম সার্ভিসের মাধ্যমে এসি ও ফ্রিজ মেরামতের কাজ করত। অপর অভিযুক্ত পিয়াস ফকির গোপালঞ্জের একটি পাওয়ার হাউজে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে।

আরও পড়ুন: কমেডিয়ান থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রায় ৮/১০ বছর যাবত নবীনবাগ এলাকায় বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবন, আড্ডা, জুয়াসহ বিভিন্ন ধরণের অপকর্মে লিপ্ত ছিল। এছাড়াও তারা চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধেও জড়িত ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে রাস্তাঘাটে স্কুল/কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও রয়েছে। মূলত পাশবিক প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই উক্ত ন্যাক্কারজনক ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা স্বীকার করে।