বানেশ্বর কলেজের স্মৃতিসৌধটি যেন ময়লার ভাগাড়
অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর সরকারি কলেজের স্মৃতিসৌধটি। কলেজের দক্ষিণ পাশে মাঠে অবস্থিত মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে শহীদের স্মৃতির স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটি এখন প্রায় পরিত্যক্ত। ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
সীমানা প্রাচীর না থাকায় অবাধে লোকজন, গরু-ছাগল বিচরণ করে। অরক্ষিত অবস্থায় থাকার কারণে গণশৌচাগার হিসেবে পরিণত হয়েছে। রাতের বেলায় বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। এতে করে স্মৃতিসৌধের পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অসম্মানও হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিজাব পরার পক্ষে বিক্ষোভ করায় কর্ণাটকের ৫৮ ছাত্রী বহিষ্কার, মামলা
সারা বছর ধরে অযত্নে পড়ে থাকলেও যেন দেখার ক্নেউ নেই। বানেশ্বর সরকারি কলেজের স্মৃতিসৌধ হলেও এব্যাপারে উদাসীন তারা। এটি সংরক্ষন ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগই চোখে পড়েনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের উপর জুতা পায়ে দাড়িয়ে আছে অনেকেই। শুধু তাই নয় এক ব্যাক্তিকে সেখানে দাড়িয়ে প্রশাব করতেও দেখা যায় । স্মৃতিসৌধের পাশ দিয়ে ময়লার ড্রেন চলে গেছে তার দুর্গন্ধ সব সময় বাতাসে ভাসতে থাকে। পাশেই আবর্জনার স্তূপ।
স্থানীয়রা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের প্রতি সম্মানার্থে এখানে সৌধটি নির্মিত হয়েছে। এর চারপাশে উঁচু বাউন্ডারি তৈরি করে দিলে ভিতরে কেউ ঢুকতে পারবে না। স্থানটির পবিত্রতা রক্ষা পাবে। যদি বানেশ্বর সরকারি কলেজে কর্তিপক্ষে পক্ষ থেকে স্থানটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে স্মৃতিসৌধটির পবিত্রতা রক্ষা পাবে
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা বানেশ্বর সরকারি কলেজের স্মৃতিসৌধটির ভিত্তি প্রস্তর কাজের উদ্বোধন করেন।
বানেশ্বর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসাজনিত কারণে দেশের বাহিরে আছেন। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ নেই বলে তারা কেউ কথা বলতে রাজি হননি।