১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:৩৫

আত্মহত্যা রোধে সিআইডির সঙ্গে ফেসবুকও কাজ করবে

সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান।  © সংগৃহীত

আত্মহত্যা প্রতিরোধে সিআইডির সঙ্গে ফেসবুক কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মাহবুবুর রহমান। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আত্মহত্যার বিষয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সিআইডি প্রধান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকের সিঙ্গাপুরকেন্দ্রিক অফিসে জানতে চাইলাম। ফেসবুক আমাদের জানালো, লাইভের প্রথমে মহসীন খানের কথা স্বাভাবিক ছিল। তিনি আত্মহত্যা করবেন এমনটা তাদের মনে হয়নি।’ চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর আবু মহসীন খান যে আত্মহত্যা করবেন, তা তার ফেসবুক লাইভের শেষের দিকে বুঝতে পারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: সাত কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের ফল প্রকাশ, পাশের হার ৯৫ শতাংশ

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকের সিঙ্গাপুরকেন্দ্রিক অফিসে জানতে চাইলাম। ফেসবুক আমাদের জানালো, লাইভের প্রথমে মহসীন খানের কথা স্বাভাবিক ছিল। তিনি আত্মহত্যা করবেন এমনটা তাদের মনে হয়নি।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সিঙ্গাপুর ফেসবুকের অফিস থেকে আমাদের জানালো, উনি (মহসীন) সাড়ে ১৬ মিনিটের বেশি লাইভে ছিলেন। কিন্তু প্রথম দিকে তিনি যেভাবে কথা বলছিলেন তারা (ফেসবুক) বুঝতে পারেনি মহসীন খান আত্মহত্যা করবেন।

মহসীন খান প্রথমে পরিবার, ব্যক্তিগত জীবন, ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। ফলে শুরুর দিকে ফেসবুক তার আত্মহত্যার বিষয়টি বুঝতে পারেনি।

সিআইডির প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘লাইভের শেষের আড়াই মিনিট আগে ফেসবুক বুঝতে পারে মহসীন খান আত্মহত্যা করবেন। ফেসবুককে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন তারা আত্মহত্যা রোধে ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে কাজ করে।’

আরও পড়ুন: বিপিএলে বাপ্পি লাহিড়ীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

গত ২ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন মহসীন খান। তিনি পেশায় ছিলেন ব্যবসায়ী। মাথায় গুলি করার আগে ফেসবুক লাইভে তিনি বার্ধক্যের নিঃসঙ্গতা, পরিবার নিয়ে হতাশার কথা বলেন। এক নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে ফেসবুককে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যাতে আত্মহত্যা রোধে আমাদের সঙ্গে কাজ করে। এ সময় সিআইডি প্রধান বলেন, মহসীন খান যখন লাইভ শুরু করেন, তখন যারা লাইভ দেখছিলেন আমরা তাদের ট্র্যাক করার চেষ্টা করেছি। এটার উদ্দেশ্য কাউকে দোষারোপ করা নয়, তাদের সচেতনতা করা। যাতে করে ভবিষ্যতে তারা সচেতন হয়ে আমাদের জানাতে পারে।