স্কুলমাঠে দোকান ঘর নির্মাণের প্রতিবাদে স্থানীয়দের মানববন্ধন
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গোসাইবাড়ি এ.এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে খেলার মাঠে দোকান ঘর নির্মাণ করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মানবন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্কুলের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। একইদিন স্থানীয় ১১২ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠান স্কুলের দাতা সদস্য আবু সালেহ স্বপন।
এ বিষয়ে আবু সালেহ স্বপন বলেন, ‘‘স্কুলের জায়গায় দোকান তুলে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকায় লিজ দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এর কিছু অংশ স্কুল ফান্ডে জমা দিয়ে বাকি টাকা নিজেদের পকেটে ভরছেন তারা।’’
আরও পড়ুন: সাত কলেজের নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলমাঠে বেশ করেকটি দোকান নতুনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। পূর্বে আরো ২২০টির মত দোকান নির্মাণ শেষে বিভিন্ন জনের কাছে সেগুলো লিজ দেয়া হয়েছে। ওই দোকানগুলো এখন চলমান। স্কুলের নতুন ভবনের পিছনের দেয়াল ঘেঁষেও দোকান ঘর তোলা হয়েছে। ফলে ক্লাশরুমে বাইরের আলো ঢুকছে না। এতে ক্লাসে আলো স্বপ্লতা নিয়ে ক্লাশ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এমনকি প্রধান শিক্ষকের রুমের জানালাও বন্ধ হয়ে আছে দোকানঘরের আড়ালে।
স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় স্কুলের সম্পত্তি নিয়ে কি হচ্ছে কিছুই তাদের জানানো হয় না। এমনকি কোন পরামর্শ মিটিং ও করা হয় না। দ্রুত সব দোকান বন্ধ করে স্কুলের মাঠ খালি রাখার দাবি জানান তারা।
সহকারী প্রধান শিক্ষক সাজিয়া আফরিন বলেন, মাঠের সৌন্দর্য নষ্ট হলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই খুলে দেওয়া হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী
বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে সরে পরেন প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান।
তবে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘‘দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়টি সত্য; তবে এর লিজের টাকা স্কুলের সংস্কার কাজেই ব্যয় করা হয়। জমাকৃত টাকা আত্মসাৎ করার কোন সুযোগ নেই।’’