গ্যাসের দাম নির্ধারণে গণশুনানি শুরু হবে ২১ মার্চ
গ্যাসের দাম নির্ধারণে আগামী ২১ মার্চ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। এরপরই গ্যাসের নতুন দাম ঠিক করা হবে। গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানির গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করার জন্য কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ওপর গণশুনানি করা হবে।
গত মাসে বিইআরসির কাছে গ্যাসের দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানীগুলো। এক চুলা ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার ১০০ টাকা করার প্রস্তাব জমা দেয়।সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাইয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
বিইআরসিতে দেওয়া বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির প্রস্তাবে বাসাবাড়িতে প্রতি সিঙ্গেল চুলার গ্যাসের দাম ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা এবং দুই চুলার গ্যাসের দাম ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ১০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। আবাসিকে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটারের বিদ্যমান মূল্য ১২.৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭.৩৭ টাকা, সিএনজি প্রতি ঘনমিটার ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৬.০৪ টাকা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৯.৯৭ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭.০৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৭.০২ টাকা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩.৮৫ টাকা থেকে ৩০.০৯ টাকা এবং চা শিল্পে ১০.৭০ টাকা বাড়িয়ে ২৩.২৪ টাকা হতে পারে। অন্যদিকে, বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় থাকা বিদ্যমান দর ৪.৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯.৬৬ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাড়তি বিদ্যমান গড় ৯.৩৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০.৩৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- গ্যাস, অকটেন, পেট্রোল চালিত বাস-গাড়ির ভাড়া বাড়েনি
বাখরাবাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি মূল্য ৩৬.৬৯ টাকা, মূসক, অগ্রিম আয়কর, ফিন্যান্সিং চার্জ, ব্যাংক চার্জ ও কমিশন, রি-গ্যাসিফিকেশন চার্জ, ভোক্তা পর্যায়ে উৎসে কর সবমিলিয়ে খরচ দাঁড়াচ্ছে ৫০.৩৮ টাকা।
দাম বৃদ্ধির বিষয়টিকে অতিরিক্ত বলছে বিইআরসি। এদিকে গ্রাহকরা গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তারা বলছেন, করোনার কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেতন/মজুরি কমে গেছে। এ অবস্থায় গ্যাসের নতুন দাম বৃদ্ধি মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলবে।