১০ টাকার জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৩৫ PM , আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৪৩ PM
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাত্র ১০ টাকার জন্য ইয়ামিন হোসেন (৭) নামে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ানের কানাইডাঙ্গা গ্রামের একটি আম বাগান থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ইয়ামিন হোসেন উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে এবং কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের নাতি। সে তার নানা বাড়িতে থেকে স্থানীয় কানাইডাঙ্গা-বৃত্তিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করত।
আরও পড়ুন: ‘নিষ্ঠুর একটা কথা বললাম’
জানা গেছে, আজ দুপুরে ইয়ামিন হোসেন, ইমনসহ বেশ কয়েক জন মিলে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় একই গ্রামের আশাদুল ইসলামের ছেলে জাহিদ হাসান ইয়ামিন ও ইমনকে চানাচুর কিনতে ৩০ টাকা দেয়। ইয়ামিন ও ইমন ১০ টাকার কম চানাচুর কিনে নিয়ে আসে। এতে জাহিদ হাসানসহ তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়ামিনকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে কাঠের বাটাম দিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর তার মরদেহ গ্রামের একটি আম বাগানে লুকিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন: জবিতে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ হল মাসুদের
পরে ইমন বাড়ি ফিরে বিষয়টি ইয়ামিনের পরিবারের সদস্যদের কাছে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতারের মর্গে পাঠায়।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খবর পেয়ে নিহত ইয়ামিনের লাশ শনিবার বিকাল ৫টার পর তাদের বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রবিবার লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।