সার্চ কমিটির সভাপতি জাতীয় ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন: ফখরুল
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য করা সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জাতীয় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এসময় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসান প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। তার বাবা আওয়ামী লীগ মনোনীত পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। এছাড়া ছহুল হোসাইন ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এই অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশে যে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে তাদের লক্ষ্য থাকবে বিদায়ী কমিশনের আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নেয়া।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গঠিত অনুসন্ধান কমিটির বিষয়ে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করতে চায় না বিএনপি। এই প্রক্রিয়াকে অর্থহীন এবং অগ্রহণযােগ্য বলে মনে করে দলটির স্থায়ী কমিটি। তাছাড়া যাদের সমন্বয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষ অথবা পরােক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত বলে দাবি তাদের।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সব অবৈধ কর্মকাণ্ড বিশ্ববাসীর কাছ থেকে আড়াল করতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস কর্মকর্তাদের ব্যবহার করেছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। বিএনপি এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। একইসঙ্গে বিদেশে কর্মরত দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশের জনগণের স্বার্থে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কর্তব্য পালনের আহ্বান জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।