০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৪৬

যুবদল নেতার বিরুদ্ধে শিশুসন্তান ধর্ষণের মামলা

অভিযুক্ত ইমাম হোসেন মিসকিন  © টিডিসি ফটো

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাপড়ুয়া শিশুসন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পিতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পিতা ইমাম হোসেন মিসকিন (৪৫) যুবদল নেতা। এ ঘটনায় শুক্রবার ভুক্তভোগীর বাবাসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর মা।

অভিযুক্ত মিসকিন উপজেলার চর সাহাভিকারি গ্রামের মিসকিন বাড়ির এনায়েত উল্যাহ এর ছেলে। তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। অপর অভিযুক্ত হলেন, চক দরবেশ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ।

আরও পড়ুন: দুই বছরে ৭ বিয়ে, স্বামীদের সর্বস্ব লুটে নেয়াই ছিল যার পেশা

গত ২৭ জানুয়ারি রাত দশটায় উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী গ্রামের চাঁন মিয়ার দোকান সংলগ্ন মমতাজ কমলার বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে তিন ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন শিশুর মা মনোয়ারা সুলতানা।

শিশুর মা মনোয়ারা সুলতানা জানায়, চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাভিকারী গ্রামের মৃত এনায়েত উল্যাহর ছেলে ইমাম হোসেন মেসকিনের সাথে ১৭ বছর পূর্বে একই গ্রামের মৃত নুরুল হুদার কন্যা মনোয়রা সুলতানার বিয়ে হয়। তার ঘরে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। সন্তানদের নিয়ে মনোয়ারা পিতার মমতাজ কমলার বাড়িতেই থাকতেন। গত ২৭জানুয়ারি রাত দশটার দিকে তিনি রান্না ঘরে রুটি বানানোর সময় তার আট বছর বয়সী শিশুকন্যাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ইমাম মেসকিন। রান্নাঘর থেকে ফিরে বিছানার উপর শিশুকন্যাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন মনোয়ারা। পরে মামলা করেন।

এ সময় তড়িঘড়ি করে মেসকিন পালিয়ে যায়। পরদিন ২৮ জানুয়ারি মেসকিনের মামা, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে বিষয়টি অবগত করে মনোয়ারা মেসকিনের সংসার করবেনা বলে জানিয়ে দেন। ধর্ষণের বিষয়টি সমাধান না করে ৩০ জানুয়ারি আবুল কালাম আজাদের পরামর্শে দেনমোহরের ৭০হাজার টাকা পরিশোধ করে মনোয়ারাকে তালাক দেন মেসকিন।

আরও পড়ুন: ৪০তম বিসিএসের স্থগিত ভাইভা কাল শুরু

এর আগে আরো দুটি বিয়ে করেন মেসকিন। ওই দুটি সংসারেও তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ইমাম হোসেন মেসকিন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক। এসব ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মেসকিন স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করলেও নিজের শিশুকন্যা ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম সরকার বলেন, বাদীর এজাহার এফআইআর করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশু নিজেই ফেনীর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম এর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।