আধুনিক ডিভাইস ব্যবহার শিশুদের বেশি আত্মকেন্দ্রিক বানাচ্ছে
আধুনিক ডিভাইস ব্যবহার শিশুদের বেশি আত্মকেন্দ্রিক বানাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. ওমর ফারুক। তাই মেধাভিত্তিক আগামি প্রজন্ম গড়তে শিশু বয়স থেকে শব্দ করে পড়ার অভ্যাস তৈরী করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ‘বিশ্ব শব্দ করে পড়া দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রিড অ্যালাউড বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল ৭ ফেব্রুয়ারির পর
রিড অ্যালাউড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রূপক সিংহের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. ওমর ফারুক, জাতীয় শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এন কে ঘোষ এবং অংশগ্রহণকারী শিশুরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস সার্বক্ষণিক ব্যবহারের ফলে আজকের শিশুরা অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। তারা মোবাইল ফোনেই পৃথিবীটা দেখে। এ কারণে তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে জড়তাও। শিশুদের অন্যদের সাথে মেলামেশা ও তাদের কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে শব্দ করে পড়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: একুশে পদক পাচ্ছেন দুই উপাচার্য
জাতীয় শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এন কে ঘোষ বলেন, আমরা যখন শব্দ করে পড়ি তখন অনেকগুলো ইন্দ্রিয় একসাথে ওই বিষয়টি মনে রাখতে সাহায্য করে। তাই শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে শব্দ করে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শিশুদের শব্দ করে পড়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, শব্দ করে পড়ার প্রয়োজনীয়তা বহুমাত্রিক। মানুষকে সুন্দরভাবে বুঝাতে সক্ষম হতে চাইলে শ্রুতিমধুরভাবে কথা বলতে জানতে হবে। আমরা দেখতে পাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও অনেক শিক্ষার্থী সঠিক উচ্চারণে কথা বলতে পারে না। কারণ তার ভুল ত্রুটি কেউ শুধরে দেয়নি। শব্দ করে পড়ার অভ্যাস তৈরি করলে শিশুদের ছোটবেলা থেকেই এ ভুলগুলো সম্পর্কে সচেতন করা সম্ভব হবে।
এছাড়াও এই ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে গল্প কথন, কবিতা আবৃত্তি, গান এবং উপস্থিত বক্তৃতার আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিশুরা শব্দ করে পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, রিড অ্যালাউড বাংলাদেশ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশে ‘বিশ্ব শব্দ করে পড়া দিবস’ পালন করে আসছে।