০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৩৮

সাইড দেয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে প্রাণ গেল শিশুর

আফসানার মায়ের আহাজারি  © ফাইল ফটো

সাভারের আশুলিয়ায় সাইড দেওয়া না দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্স আটক করে এর চালক ও হেলপারকে মারধর করেছে অপর একটি মাইক্রোবাসের চালকসহ কয়েকজন ব্যক্তি। পরে চাবি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আটক করলে ভেতরেই ছটফট করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আফসানা (৯) নামে এক শিশু। 

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর বাস স্ট্যান্ডে সাইড না দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স ও মাইক্রোবাসের চালক।

মাইক্রোবাসটির চালকের নাম নজরুল ইসলাম। তিনি বাইপাইল এলাকার আব্দুল মজিদের গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করেন। তবে নজরুলসহ অন্যান্যদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুনঃ খাবারের বিনিময়ে টিউশনি করাতে চাওয়া সেই যুবককে খুঁজছে পুলিশ

মৃত আফসানা গাইবান্ধা জেলা সদর থানার মধ্য ধানঘড়ার শাপলা মিল এলাকার আলম মিয়ার মেয়ে। আফসানা ক্যানসারের রোগী ছিল। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছিল।

অ্যাম্বুলেন্সের চালক মারুফ হোসেন বলেন, আমরা রোগী নিয়ে গাইবান্ধায় যাচ্ছিলাম। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় পৌঁছলে একটি মাইক্রোবাস (চ-১৫৭৩২৩) সাইড দিচ্ছিল না।

আফসানার বাবা আলম মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে ক্যানসারের রোগী। রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। সেখান থেকে আমরা আবার গাইবান্ধা যাচ্ছিলাম।’

এ সময় আমার হেলপার ইমন তাদের বলে, আমাদের অ্যাম্বুলেন্সে ইমারজেন্সি রোগী আছে, আমাদের ছেড়ে দেন। এ সময় বিতন্ডা হয়। পরে লোকজন ডেকে বাইপাইল এলাকায় গাড়ি আটক করে আমাদের মারধর করে। পরে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে যায় তারা। চাবি নেওয়ার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে রোগী মারা যায়। পরে পুলিশ এসে রোগীকে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী পাভেল বলেন, তারা যদি অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে চাবি না নিয়ে যেতো হয়ত আরও কিছুক্ষণ ওই রোগী বাঁচত। আমরা এই মারধরকারী ব্যক্তিদের বিচার চাই। পরে স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে চালককে দিলে তারা হাসপাতালে যায়। ততক্ষণে মারধরকারীরা গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, মৃত আফসানাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।