ইভ্যালির লকারে মিলল ২৫৩০ টাকা
ইভ্যালির লকার ভেঙে পাওয়া গেলো ২৫শ' ৩০ টাকা। আর সংকটে পড়া প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ড প্রধান জানালেন সহসাই টাকা ফেরত পাবেন না গ্রাহকরা। আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে হাইকোর্টের নির্দেশে ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসে থাকা লকারের কম্বিনেশন নম্বর না পেয়ে সেটা কেটে খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের যেসব জেলা করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ
হাইকোর্টের নির্ধারিত পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা, ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্বাহী হাকিমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে সিন্দুক কেটে খোলা হয়। তবে তেমন কোন অর্থ না পাওয়ায় হতাশ পরিচালনা বোর্ড। একটি লকারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭ টি ও সিটি ব্যাংকের ১০ টি চেক পাওয়া গেছে। আরেকটিতে পঁচিশশো ৩০টাকা।
এর আগে, গত ২৩শে নভেম্বর কারাগারে থাকা ইভ্যালির সাবেক সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এ জন্য আদালতের নিযুক্ত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কারাগারে এই দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জ্বর হলে আরামে থাকুন ৭ উপায়ে
এদিকে, ন্যুনতম ৬ মাসের অডিট শেষে সম্পদ আর পাওনা টাকার হিসেব করে হাইকোর্টের নির্দেশের কথা জানালেন ই-ভ্যালির পরিচালনা বোর্ড প্রধান বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, আইন মতে, যখন কোনো কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যায় তখন সেই কোম্পানির দেনা এবং সম্পদের সমন্বয় করতে হয়। তারপর তাদের টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর এটা হতে হয় সম্পদের সাথে দেনার হিসেব মিলিয়ে। তবে, আমাদেরকে আরও অপেক্ষা করতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির নাম দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত। প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন। রাসেলের কাছে লকারের চাবি চাওয়া হলেও তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।