ইসি আইন ক্ষমতা ধরে রাখার নয়া কৌশল: জেএসডি সভাপতি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সরকারের নতুন কৌশল এবং এই আইন সাংবিধানিক চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জেএসডি সভাপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন হবে, নির্বাচন কমিশন হবে, সংবিধানের দায় পালনের জন্য নির্বাচনের আয়োজন করা হবে কিন্তু ফলাফল সরকারের অনুকূলেই থাকতে হবে- এই যখন সরকারের মনোবাসনা ও প্রতিজ্ঞা, তখন আর অবাধ নির্বাচন হতে পারে না। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে জয়লাভ করাটাকেই সরকার ‘অধিকার’ বলে মনে করে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে লাইটের দিকে তাক করিয়ে ঢাবি গেস্টরুমে শাস্তি
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার অতীতের কলঙ্কিত সার্চ কমিটিকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছে মাত্র, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনাও সৃষ্টি করেনি। এই আইনে সরকারের আত্মতৃপ্তির উপকরণ জোগান হয়েছে কিন্তু জনগণের ভোটাধিকারের স্বপ্ন আরো তিরোহিত হয়েছে। এইভাবে সাংবিধানিক নির্দেশনাকে লঙ্ঘন করা, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারকে পরিত্যাগ করা, আইনের শাসনকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার মাধ্যমে সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কাঠামোগত ভিত্তি বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং যা মেরামত অযোগ্য হয়ে পড়বে।
রব সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “এসব মৌলিক বিষয় এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত সমাজ রূপান্তরের প্রশ্নে রাজনীতিবিদ, অংশীজন পেশাজীবী নাগরিক সমাজ এবং বৃহৎ জনগোষ্ঠী বিবেচনায় না নিলে এক দিন আমাদের ‘স্বপ্ন’ এবং ‘আকাঙ্ক্ষা’ দুটোই হাতছাড়া হয়ে পড়বে।”
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে সড়কে আলপনা এঁকে প্রতিবাদী গান
এছাড়া বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে বহুবার প্রমাণিত হয়েছে আইন প্রণয়ন করলে বা সংবিধানে নির্দেশনা থাকলেই ‘গণতন্ত্র’ ও ‘ভোটাধিকার’ সুরক্ষিত হয় না। ৭০-এর নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হয়নি বলেই জনগণ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে রায় দিতে পেরেছিল। সেসব এখন আওয়ামী লীগের কাছে ভুলে যাওয়া অতীত।