টাকা ছাড়া দিচ্ছেনা প্রশংসাপত্র
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় টাকা ছাড়া দিচ্ছেনা এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্র। একটি প্রশংসা পত্রের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে গুনতে হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। টাকা না দিলে দিনের পর দিন ঘুরেও মিলে না প্রশংসাপত্র।
আরও পড়ুন: বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় কলেজছাত্র নিহত
অনেক শিক্ষার্থী টাকার অভাবে প্রশংসাপত্র নিতে না পেরে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, দুই হাজার ২১ সালের এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এখন ভর্তি হবেন একাদশ শ্রেণিতে। নতুন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সাবেক প্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্র দরকার। এই সুযোগে বাণিজ্য শুরু করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। টাকা ছাড়া দিচ্ছেন না প্রশংসা পত্র। একটি প্রশংসাপত্র পেতে কমপক্ষে ৫০০ টাকা দিতে হয়। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার টাকা করেও নেওয়া হচ্ছে। অসহায় শিক্ষার্থীরা টাকা দিতে না পারায় তাদের প্রবেশপত্র দেওয়া হচ্ছে না। দিনের পর দিন ঘুরেও প্রশংসাপত্র পাচ্ছেন না অনেকেই।
রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশপত্র নিতে আসা শিক্ষার্থী নাইম, পলাশ ও জিসান জানান, তিন চার দিন ধরে প্রশংসাপত্র নেওয়ার জন্য স্কুলের বারান্দায় ঘুরছি। আমাদের প্রশংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। যারা টাকা দিতে পারছে তাদের প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন টাকা ছাড়া স্কুলের ধারে কাছে না আসতে। তারা বলেছেন বিনা টাকায় প্রশংসাপত্র হয় না। এদিকে আমাদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে হবে।
আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বেঁধে কলেজ ছাত্রকে নির্যাতন
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার অনাদী কুমার বাহাদুর জানান, প্রশংসাপত্রের জন্য টাকা নেয়ার বিধান নেই। তবে অনেকেই খুশি হয়ে দিয়ে যায়, সেটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু কাউকে আটকিয়ে টাকা রাখাটা অন্যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন নেছার বলেন, এটা তো সবসময় হয়ে আসছে। তবে সবাই তো দেয় না। গরীবদের ছাড় দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, প্রশংসাপত্রের জন্য আলাদাভাবে অর্থ নেয়ার কোন সুযোগ নেই। যেহেতু অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।