সনদ বিক্রি করছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
অনেক বিশ্ববিদ্যালয় মান সম্মত শিক্ষা না দিয়ে সনদ বিক্রি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে গণসাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শামসুল আলম বলেন, সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। আজকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫০টি। আর এখন ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় খুব ভালোভাবে চলছে না। ডজন বা তার কিছু বেশি হয়তো মানসম্মত শিক্ষা দিচ্ছে। অনেকগুলো সনদও বিক্রি করছে। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে ভেতরগত ও ব্যবস্থাপনাগত বৈপ্লবিক পরিবর্তন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: যবিপ্রবির লিফটে আটকে পড়ে কাঁদলেন সাবেক ভিসি
শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু শিক্ষায় জাতীয় বাজেটের যে দুই শতাংশ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় তা পুরোপুরি ব্যয় হয় না। ৮০-৮৫ শতাংশ ব্যয় হলেও বাকিটা যায় ফেরত। সক্ষমতা ও জনবল সংকটের কারণে এমনটি হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে দেশে অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। স্বাস্থ্য খাতে সমস্যা সত্ত্বেও অর্জন অনেক আছে। মানবসম্পদকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে। যদিও বরাদ্দে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়া যায়নি। প্রত্যেক নাগরিককে শিক্ষার সুযোগ দেওয়া রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব। তারপরও সম্পদের অভাবের কারণে সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ব্যক্তিগত খাতও এর প্রসারে ভূমিকা রাখছে। শিক্ষাক্ষেত্রে একটি ঝাঁকুনি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনায় ইন্টার্নশিপের সুযোগ, আবেদন শেষ ২০ মার্চ
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা। বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সংখ্যাগত শিক্ষার হার বেড়েছে অনেক। তবে মানসম্মত শিক্ষা থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। এখনো গুনগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়নি। শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক আন্দোলন প্রয়োজন। এ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত দেশে সর্বজনীন বাধ্যতামূলক শিক্ষা করা প্রয়োজন।
শিক্ষানীতির আলোকে দীর্ঘ এক দশকেও শিক্ষা আইন না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন সংলাপ অনুষ্ঠানের সভাপতি অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, সংলাপে যেসব কথা বলা হয়েছে তার প্রায় সবকিছু্ই জাতীয় শিক্ষানীতিতে আছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, সাংসদ আরম দত্তও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।