আবার ড. ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব
নোবেলজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাংক হিসাব আবারও তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। আগামীকাল মঙ্গলবারের (২৫ জানুয়ারি) মধ্যে ব্যাংকগুলোকে তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ড. ইউনূসের নামে থাকা সব ধরনের ব্যাংক লেনদেন, এমনকি ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের তথ্য চেয়ে প্রতিটি ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কোনো ব্যাংকে ড. ইউনূসের লেনদেনের রেকর্ড থাকলে তাও মঙ্গলবারের মধ্যে বিএফআইইউকে পাঠাতে বলা হয়েছে। তবে কী কারণে ড. ইউনূসের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চাওয়া হয়েছে তা বলা হয়নি।
আর পড়ুন: ঢাবিতে প্রতীকী অনশনে শিক্ষকরা
এর আগে ২০১৬ সালে একবার ড. ইউনূস ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্যাংকটিতে এমডির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ড. ইউনূস। অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণে ২০১১ সালে সরকার তাকে এমডি পদ থেকে সরিয়ে দেয়। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ইউনূস উচ্চ আদালতে গেলে হেরে যান।
আর পড়ুন: শনাক্তের হারে ঢাকাকে ছাড়িয়ে গেছে বাকী সাত বিভাগ
প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ব্যাংকটিতে এমডির দায়িত্ব পালন করে আসছেন ড. ইউনূস। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পান তিনি। তবে অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণে ২০১১ সালে সরকার তাকে এমডি পদ থেকে সরিয়ে দেয়। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ইউনূস উচ্চ আদালতে গেলে হেরে যান। ওই সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ইউনূসের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে সরকারকে চাপ দেন।