করোনায় পুলিশ ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মহামারীতে পুলিশ মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, লাশ দাফন করেছে। স্বজনরা যখন ফেলে রেখে চলে গেছে তখন পুলিশ সেই লাশগুলি দাফন করেছে। তাদের সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২২’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ - এই সেবার মাধ্যমে আজকে পুলিশ বাহিনী দ্রুত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছে। এতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ সর্বক্ষণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্যর্থ উপাচার্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না: নুর
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা এগিয়ে যাবো। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ, সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে পুলিশ বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস জনবান্ধব পুলিশিং-এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, গণতন্ত্র সমুন্বত রাখতে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। সর্বোপরি পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশকে শান্তির সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে নব উদ্যমে কাজ করতে প্রেরণা জোগাবে।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সবসময় ধ্বংসাত্মক কাজ করে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, বৃক্ষ কর্তন, অর্থাৎ গাছ কেটে ফেলা, রাস্তা কেটে ফেলা, নানা ধরনের কাজ তারা করেছে। তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। যেভাবে তারা পুলিশের সদস্যকে নির্মমভাবে মেরেছে সেটা সত্যিই ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।
আরও পড়ুন: পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হওয়া সাকলায়নের জীবন সফলতায় ভরা
শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করে তারা দেশে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কত মানুষকে তারা হত্যা করেছে তার কোনো সীমা নেই। সেসময় পুলিশবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে মানুষের জীবনে শান্তি-নিরাপত্তা নিয়ে এসেছে। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তারা সেটা করেছেন।