২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:২৫

স্কুল-কলেজ বন্ধ, বাণিজ্য মেলা চলবে

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা  © সংগৃহীত

করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে আগামী ১৪ দিনের জন্য স্কুল-কলেজ এবং সমমনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজ শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বাণিজ্য মেলা বন্ধের কোনো নির্দেশনা ছিলো না।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় মহাখালীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। স্কুল ও কলেজে সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। এটা আশঙ্কাজনক। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলেছি। আগামী দুই সপ্তাহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। 

মন্ত্রীর বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ নতুন কিছু প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামীকাল থেকে শুরু করে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।  এছাড়া সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০-এর বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। যারা এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন তাদের টিকা সনদ থাকতে হবে।

আরও পড়ুন- আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বাজার বা শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরনের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে এবং বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটর করবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাণিজ্য মেলা চলবে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে মেলায় আসা লোকজনকে অবশ্যই টিকা সনদ নিয়ে আসতে হবে এবং মাস্ক পরিধান করতে হবে বলে জানিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাণিজ্য মেলা চালু রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাহবুব মিলন লেখেন, করোনা শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই হানা দিয়েছে। হাটে-বাজারে, মেলায় করোনা থাকে না। শেখ সাদি লিখেন, করোনা কি বাছাই করে শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করে। এই ধরনের বৈষম্যের অবসান চাই।

আরও পড়ুন- ঢাবির পরীক্ষা চলবে, হল থাকবে খোলা

এদিকে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। অনলাইনে তাদের শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালিত হবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।