কাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ চলবে ভার্চ্যুয়ালি
করোনা সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষাপটে কাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশক্রমে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এ বিষয়ে পৃথক স্মারক দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আপিল বিভাগের স্মারকে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার থেকে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এতদসংক্রান্তে জারিকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করত: তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি মানসিক সমস্যায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা: গবেষণা
হাইকোর্ট বিভাগের স্মারকে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার থেকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এতদসংক্রান্তে জারিকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করত: তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় ভার্চ্যুয়াল ও ক্ষেত্র বিশেষে শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম চলে আসছিল। এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা রোগীদের ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, গত ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এরপর গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে শারীরিক উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিকে, রাজধানীর জাতীয় বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিউটে প্রশিক্ষণ নিতে এসে দেশের বিভিন্ন আদালতের ২২ জন সহকারী জজ (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে অসমাপ্ত রেখেই দুই মাসের প্রশিক্ষণ প্রোগাম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ২২ জন সহকারী জজকে জাতীয় বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইসোলশনে রাখা হয়েছে।