ফেলানী হত্যা দিবস পালনের আহ্বান
ফেলানী হত্যার ১০ম বার্ষিকীতে ৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী 'ফেলানী হত্যা দিবস' পালন করার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ। এছাড়া দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) দিনটি উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশী শিক্ষার্থী বেড়েছে
এসময় বক্তারা বিভিন্ন মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, ২০০০-২১ সাল পর্যন্ত বিএসএফ সীমান্তে বাংলাদেশের প্রায় ২ হাজার নিরীহ নাগরিককে হত্যা করেছে। ফেলানীর হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের এখনও বিচার হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।
বক্তারা আরও জানান, বিএসএফ বারবার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে সাধারণ নাগরিকদের ধরে নিয়ে যায়। ফেলানী হত্যার বিচার না হলে এ ধরনের সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না।
এদিকে সীমান্ত হত্যার বিচারে কঠোর শাস্তির নজির না থাকলেও বিচার আর ক্ষতিপূরণের প্রত্যাশায় প্রহর গুনছে ফেলানীর পরিবার।
আরও পড়ুন: কাপ্তানবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু
নিহত ফেলানীর মা জাহানারা বেগম প্রত্যাশা করেন, কেউ যেন তার সন্তানকে এমনভাবে না হারায়। সীমান্তে একটি পাখিও যেন বিএসএফের হাতে মারা না যায়।
ফেলানীর মা-বাবা মেয়েকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেললেও এখন ন্যায়বিচার তাদের কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারবে বলে মনে করেন তার স্বজনরা।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আমীন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের নুরুল ইসলাম বিপ্লব, ওয়ার্কার্স পার্টির বিধান দাস ও সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম।ে
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১৭
ফেলানী হত্যার বাষির্কী উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ, কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল, কাঙালি ভোজ ও সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবিতে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর রামখানা সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। কাঁটা তারের বেড়ার উপরে ঝুলে থাকা তার লাশের ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এতে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে। পরে গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে ভারতীয় বিএসএফের নিজস্ব আদালতে এই হত্যার দুই দফা বিচার শেষে হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। এরপর ভারতের একটি মানবাধিকার সংগঠন এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে। ভারতীয় উচ্চ আদালত তা গ্রহণ করলেও এখন পর্যন্ত শুনানি শুরুই হয়নি।