নতুন বইয়ে উচ্ছ্বসিত সারাদেশের শিক্ষার্থীরা
করোনাভাইরাসের কারণে এবছর বই উৎসব হচ্ছে না। সারাদেশের স্কুলগুলোতে নেই উৎসবের আয়োজন। তবে নতুন বই হাতে পেয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মত।
শনিবার (০১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর থেকে একাধিক বিদ্যালয় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বই হাতে পাওয়ার পর বারবার উল্টে দেখা, নতুন বইয়ের গন্ধ নেয়া, বইগুলো পরম যত্নে ছোট্ট দু’হাতে বুকে চেপে ধরে আনন্দ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থায় নতুন বই পাবে সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থী
চলতি বছরে চার কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে তিন কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। ১২ দিনের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১ থেকে ৩ জানুয়ারি, সপ্তম শ্রেণিতে ৪ থেকে ৬ জানুয়ারি, অষ্টম শ্রেণিতে ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি এবং নবম শ্রেণিতে ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নতুন বই কিনতে গিয়ে প্রতারিত হবেন কলেজ ভর্তিচ্ছুরা
ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারিয়া নতুন বই হাতে পেয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলে, নতুন বই বারবার দেখতে ইচ্ছে করে।
ফেনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ বলেন, করোনার কারণে পাঠ্যপুস্তক উৎসব বাতিল হওয়ায় স্কুলমাঠে থাকছে না শিক্ষার্থীদের চিরাচরিত ভিড়। থাকছেন না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অন্যরা। শিক্ষকরাই বিতরণ করছেন বই।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, প্রাথমিকের শতভাগ বই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পৌঁছানো হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত মাধ্যমিকের ৯৫ শতাংশ বই পৌঁছায়।
এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, জানুয়ারিতে বিদ্যালয় খোলা থাকবে। পাঠদান শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। এর ২০ দিন আগেই মাধ্যমিকের সব বই পৌঁছে যাবে। নতুন বই বিতরণ নিয়ে পাঠদানে কোন ধরনের প্রভাব পড়বে না।