সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, অস্ত্র হাতে এরা কারা?
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশকে ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল সিরাজগঞ্জ শহর। সংঘর্ষ চলাকালে তিনজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কয়েকজনের হাতে ধারালো রামদা দেখা যায়। তবে এদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার শহরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বেশ কিছু হাত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে।
জবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের দফায় দফায় হামলা
এদিকে, এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দেখে এদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। পুলিশ বলছে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ রোডে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিকেল ৪টার দিকে এ স্থানের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আসলেও পরে তা শহরের দত্তবাড়ি সড়ক, ইলিয়ট ব্রিজ ও রেলগেট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: ১৫টি পদের ১৪টিতেই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের জয়
অস্ত্রের বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, 'সংঘর্ষ চলাকালে যদি কেউ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করে থাকে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তা সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও এবং সংঘর্ষের এলাকার সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে তা যাচাই বাচাই করা হবে।'