স্ত্রীকে না জানিয়ে ছাত্রীকে বিয়ে, শিক্ষকের শাস্তির দাবি

মানববন্ধন কর্মসূচি
মানববন্ধন কর্মসূচি  © সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় প্রথম স্ত্রী থাকার পরও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীকে বিয়েসহ নানা অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ শতাধিক মানুষ এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। অভিযুক্ত সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক।

আরও পড়ুন: নতুন নিয়মে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি জানুয়ারি থেকে

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অভিযুক্ত শিক্ষক খায়রুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী তামান্না তানিয়া, স্থানীয় এলাকাবাসী ইমাদুল মোল্লা, আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, রফিকুল মোড়ল, রহমত আলী প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম (৪০) গত ২১ নভেম্বর একই মাদরাসার দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। শিক্ষকের এ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে এলাকার সচেতন মহল বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন দেড় লাখ টাকায় মীমাংসা

বক্তারা আরও জানান, খায়রুল ইসলাম গত ১০ বছর আগে গড়েরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওহাব মোড়লের মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি তামান্না খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তামান্নার বাবা ওহাব মোড়ল মেয়ের সুখের জন্য জামাই মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুল ইমলামকে বিভিন্ন সময়ে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার যৌতুক দিয়ে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করে। এদিকে যৌতুকের দাবি করার অভিযোগে খায়রুল ইসলামে বিরুদ্ধে গত ২৫ নভেম্বর সাতক্ষীরা পারিবারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন স্ত্রী তামান্নার ভাই আজহারুল ইসলাম।


সর্বশেষ সংবাদ