সাঙ্গু নদীতে নিখোঁজ কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
বান্দরবানের রোয়াংছড়ির তারাছার বাধরা ঝর্ণার পাশে সাঙ্গু নদীতে নিখোঁজ আরেক নারী পর্যটক আদনীনের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার ভাই এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ৯টায় নিখোঁজ দুই ভাই-বোনের মধ্যে আদনীনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষকের ভাই ও সান্ধ্য কোর্সের ছাত্র নিখোঁজ
মৃত আদনানী নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের ফতুল্লার ইচদারগ্রামের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেতছড়া আর্মি ক্যাম্পের ইনচার্জ সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আবু আসাদ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বান্দরবান থেকে ১০ পর্যটক নৌকাতে করে সাঙ্গু নদী পথে বেতছড়ায় বেড়াতে আসেন। এ সময় বেতছড়ার বাধরা ঝর্ণার পাশে নদীতে গোসল করতে নামলে আটজন নদীর স্রোতে ভেসে যায়। এর মধ্যে শুক্রবার মারিয়া নামে এক পর্যটককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গুঞ্জন চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাদের মামা শামীম আহম্মেদ জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১০ জনের একটি দল বুধবার সকালে বান্দরবান ভ্রমণে আসেন। তারা বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেন। শুক্রবার বিকেলে তারা নৌকা নিয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের তারাছা ঝর্ণায় পৌঁছায়। ঝর্ণা দেখার পরে তারা সবাই সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নামেন। মারিয়া নদীতে তলিয়ে গেলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আহনাফ ও আদনীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা, ড্রেনে পড়ে নিমিষেই একজন নিখোঁজ (ভিডিও
ইঞ্জিনচালিত নৌকার চালক সনজিৎ বলেন, সাঁতার না জানায় তারা পানিতে তলিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয়রা মারিয়াকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠায়। তখন আহনাফ ও আদনীনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান সনজিৎ। আজ সকালে আদনীনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে।