পরিচয়হীন ২৯ জনকে গণকবরে দাফন
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনের লাশ নিয়ে গেছেন স্বজনরা। পাঁচজনের লাশ হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। আরও দুইজনের লাশ শনাক্ত হয়েছে। বাকী ৩০ জনকে গণকবরে দাফন করা হয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, বেলা ১১টায় জানাজা শেষে বরগুনা পোটকাখালী গণকবরে ৩০ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি তাদের ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত ২২ জন নিখোঁজের খসড়া তালিকা করেছি। আহত ও মৃতদের তালিকা তৈরি করতে গ্রামে গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। নিখোঁজদের তালিকা পূর্ণাঙ্গ হলে বলা যাবে বরগুনার কতজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন- সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন, ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে সুগন্ধা নদীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগে। আগুনে দগ্ধ অনেকেই বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি আছেন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪১ জন। নিখোঁজের সংখ্যা এখনো জানা যায় নি। দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে ছুটি নৌ-পরিবহনমন্ত্রী। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেড় লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে তিনটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। কমিটিগুলোকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি
ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে, লঞ্চের ইঞ্জিনরুম থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে লঞ্চের ক্যান্টিন বয় জানিয়েছে, ক্যান্টিনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লাঘার ঘটনা ঘটেছে। ক্যান্টিনে রাখা ডিজেল থেকে এ আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে।