‘ধর্ষণের শিকার’ ওই নারীর কল ৯৯৯-এ আসেনি: দাবি পুলিশের
কক্সবাজারে পর্যটক স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এ ফোন করে জানালেও ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে পুলিশ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
তিনি বলেন, ধর্ষণের সময় কিংবা ওইদিনে তারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন আসেনি। আমি থানার অফিসারদের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারাও জানিয়েছেন ৯৯৯-এ নারী ও তার স্বামী কেউ ফোন করেননি। ঘটনার সময় দায়িত্বরত থানার ডিউটি অফিসারও জানিয়েছেন, এমন ঘটনায় ৯৯৯ থেকে থানায় কোনো কল আসেনি। তা ছাড়া ৯৯৯-এ যে কেউ ফোন করলে সেটি রেকর্ড থাকে।
আরও পড়ুন: হলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ববির ৫ শিক্ষার্থী, হাসপাতালে ভর্তি
পুলিশ সুপার বলেন, আমি নিজে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলেছি ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন ৯৯৯-এ ফোন করেননি। তার স্বামী বলেছেন, তিনি একটি সাইনবোর্ডে র্যাবের নম্বর দেখে সেখানে ফোন করেন।
৯৯৯ পুলিশের একটি জাতীয় সেবা উল্লেখ করে তাৎক্ষণিক বিপদগ্রস্তরা সহায়তার জন্য এ নম্বরে যে কেউ কল করলে ফোন পাওয়া মাত্র তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের একটি টিম সব সময় প্রস্তুত রাখা হয় জানান এসপি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
আরও পড়ুন: অর্থাভাবে ঢাবিতে ভর্তি হতে না পারা রঞ্জনের পাশে বেনজীরের স্ত্রী
তবে ওই নারী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তা কক্ষের দরজা খুলেন তিনি। তারপর ফোন দেন ৯৯৯-এ। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। তারপর পাশের একজনের সহযোগিতায় কল দেন র্যাবকে। তারা এসে তাকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে।